চলতি অর্থবছরে
বাংলাদেশের প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ
হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ
পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংকখ্যাত সংস্থাটি।
‘গ্লোবাল ইকোনমিক
প্রসপেক্টস: স্লো গ্রোথ, পলিসি চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিবেদনটিতে অর্থনৈতিক
সম্ভাবনা, শ্লথ প্রবৃদ্ধি ও নীতি
প্রতিকূলতার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটসহ দেশভিত্তিক পরিস্থিতিও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলোর প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯
অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে চলতি
অর্থবছরসহ আগামী দুই অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। সেখানে
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে
বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আর ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ দুই অর্থবছরই বাংলাদেশের ৭ দশমিক
৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ছাড়া
দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তানের জিডিপি ধারাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। চলতি
অর্থবছর শেষে ভারত ও পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৫ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ
হারে হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে
দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ের কিছু অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতির বিষয়েও বলা হয়েছে। ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ায় চাহিদা
হ্রাস পেয়েছে। এর প্রতিফলন হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উচ্চ হারে নন-পারফর্মিং
সম্পদের বিষয়ে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি
উল্লেখ করে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক বলা
হয়েছে প্রতিবেদনে। গত অর্থবছরগুলোয় ভালো করলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রফতানি
কমে যাওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।