মালিকের গাফিলতির কারণেই কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু মালিক পক্ষের গাফিলতির কারণে এই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে সেহেতু তিনিই এর ক্ষতিপূরণ দিবেন। আর এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করবে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কেরানীগঞ্জের
অগ্নিদগ্ধদের অবস্থা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দগ্ধদের সবার অবস্থাই খুব ক্রিটিক্যাল। দুয়েকজন ছাড়া সবারই ৫০থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ঢামেকের বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দরকার হলে আরও রোগী সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে এক জন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় অন্তত ৩৭ জন
দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরও ১০ জন মারা যান।
