আলোকপাত

শীর্ষ খেলাপিদের শাস্তি না দিয়ে ব্যাংক একত্রীকরণ কতটুকু সাফল্য আনবে?

ড. মইনুল ইসলাম

ছবি : বণিক বার্তা

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে পুরনো ও মারাত্মক সমস্যা খেলাপি ঋণ সমস্যা। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা প্রদত্ত ব্যাংক ঋণের মধ্যে কমপক্ষে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণে পরিণত হয়ে গেছে, কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তিন মাস পরপর প্রকাশিত ‘ক্ল্যাসিফায়েড লোনের’ হিসাবে মাত্র ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকাকে ক্ল্যাসিফায়েড দেখানো হচ্ছে। বাকি খেলাপি ঋণকে ‘টেকনিক্যাল কারণে’ হিসাবের বাইরে রাখতে হচ্ছে। এর মধ্যে কমপক্ষে আড়াই লাখ কোটি টাকা অর্থঋণ আদালত, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে থাকা মামলায় বছরের পর বছর আটকে থাকায় টেকনিক্যালি ওগুলোকে ‘ক্ল্যাসিফায়েড’ বলা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাঁচ বছরের বেশি পুরনো ‘মন্দঋণ’, যেগুলোকে বিভিন্ন ব্যাংক ‘রাইট অফ’ করে দেয়ায় ওগুলোকেও আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত ‘ক্লাসিফায়েড লোন’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি আড়াল হয়ে যাচ্ছে বারবার নিয়মবহির্ভূতভাবে ‘রিশিডিউল’ করা ‘পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়া’ বিপুল পরিমাণ ঋণ, যেগুলোর প্রকৃত পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অজানা। আর একটা ক্যাটাগরির ঋণও অনিয়মিত: যেগুলোকে নতুন ঋণের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে নিয়মিত দেখিয়ে চলেছে বিভিন্ন ব্যাংক। এ ব্যাপারটাও বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অতএব খেলাপি ঋণের ওপর উল্লিখিত সব ক্যাটাগরিকে যোগ করলে সন্দেহাতীতভাবে বলা যাবে যে খেলাপি ঋণ সমস্যাটা ব্যাংক খাতের ‘নিরাময়-অযোগ্য ক্যান্সারে’ পরিণত হয়ে গেছে তিন দশক আগেই। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা সমস্যাটির ওপর উল্লিখিত মারাত্মক ডাইমেনশনগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও ৩০ বছর ধরে খেলাপি ঋণ সমস্যাটিকে কার্পেটের তলায় লুকিয়ে ফেলার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে চলেছেন, সমস্যার সমাধানে তারা মোটেও আন্তরিক নন।

সম্প্রতি পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে পাঁচটি বড় ব্যাংকের সঙ্গে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক সবচেয়ে দুর্বল বেসরকারি ব্যাংক পদ্মা ব্যাংককে অধিগ্রহণ করেছে সবার আগে। এরপর সিটি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণের কথা সামনে এসেছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং সবশেষে ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হওয়ার আগের দিন ইউসিবি ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূতকরণের প্রস্তাবনা সামনে এসেছে। এভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের সঙ্গে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত কী শর্তে গ্রহণ করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো বিশেষজ্ঞদের কিংবা ওইসব ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পছন্দসই হয়নি বোঝা যাচ্ছে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার পর বোঝা যাবে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে কিনা। আরো পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ‘মার্জার’-এ দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু এ সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শর্তগুলো বিস্তারিত না জেনে বর্তমান পর্যায়ে মার্জারের সুফল এবং কুফল সম্পর্কে মন্তব্য করা সময়োচিত না-ও হতে পারে। তবু কয়েকটি মন্তব্য সমীচীন মনে করছি।

সোনালী ব্যাংক এবং বিডিবিএল একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। এখন দীর্ঘমেয়াদি শিল্প ঋণ দেয়ার জন্য আলাদা ব্যাংক থাকার ভালো যুক্তি নেই, কারণ এত দিনে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিডিবিএল এর আগে দুটো শিল্পায়ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধুঁকে ধুঁকে টিকে ছিল: একটি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, অন্যটি বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা (বিএসআরএস)। চার দশক ধরে এ দুটো প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণে জর্জরিত ছিল। পরবর্তী সময়ে ওগুলোকে সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকে রূপান্তরিত করা হলেও ব্যর্থ হয়েছে ব্যাংকগুলো। বিডিবিএলের খেলাপি ঋণগুলো দীর্ঘদিনের। এগুলো আদায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এত বেশি খেলাপি ঋণের বোঝা সোনালী ব্যাংক কীভাবে সামলায় সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মার্জারও যৌক্তিক। আমার মতে, আলাদা করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তটিই ভুল ছিল, কৃষি ব্যাংকের শাখা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি ঋণের চাহিদা পূরণের দায়িত্বটি পালন যথাযথ হতো। বেসিক ব্যাংক অত্যন্ত ভালো একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছিল, যার খেলাপি ঋণের অনুপাত এক দশক আগেও ৩-৪ শতাংশের বেশি ছিল না। কিন্তু শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে এ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল রেখে কয়েক বছর বেধড়ক লুটপাট করতে দিয়ে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করেছে বর্তমান সরকার। প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত বেশ কয়েকবার আবদুল হাই বাচ্চুকে অপসারণ করতে বললেও রহস্যজনক কারণে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে সমর্থন পাননি। ব্যাংকটি একেবারে নাজুক দশায় পড়ার পর আবদুল হাই বাচ্চুকে অপসারণ করে তার পরিবর্তে সেখানে আলাউদ্দিন মজিদকে চেয়ারম্যান করা হয়। এতে ব্যাংকটির পতনের ধারা রুখা যায়নি। এখন এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬৮ শতাংশের বেশি। তাই আলাদাভাবে ব্যাংকটি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। অতএব মার্জারের মাধ্যমে ব্যাংকটির অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা সময়োচিত সিদ্ধান্ত। তবে সিটি ব্যাংক একটি প্রাইভেট ব্যাংক। একটি পতনোন্মুখ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বোঝা তারা কীভাবে বহন করে সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। বেসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এরই মধ্যে প্রাইভেট ব্যাংকের পরিবর্তে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন। ন্যাশনাল ব্যাংক জন্মলগ্ন থেকেই লুটপাটের শিকার। অন্যতম প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণের পর একসময়ের বড় বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত হলেও সিকদার পরিবারের দুই ভাই রণ হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের হাতে পড়ার পর ব্যাংকটি লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে কয়েক বছর আগেই। এ রকম একটি নিমজ্জমান প্রাইভেট ব্যাংককে উদ্ধার করতে গিয়ে ইউসিবি নিজেই সংকটাপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ শঙ্কার কারণে ইউসিবি-ন্যাশনাল ব্যাংকের মার্জার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকব।

এ পাঁচ দুর্বল ব্যাংককে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তির আওতায় না এনে ব্যাংকগুলোকে মার্জারের মাধ্যমে অন্য পাঁচটি ব্যাংকের অধিগ্রহণে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি একটি বড় ধরনের ‘মুর‍্যাল হ্যাজার্ডের’ জন্ম দিচ্ছে। পদ্মা ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল ফারমার্স ব্যাংক হিসেবে, এটার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সরকারের সাবেক আমলার। একটি নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২০ কোটি টাকা তার সারা জীবনের বৈধ আয় থেকেও সংগ্রহ করা অসম্ভব। রাজনৈতিক পুরস্কার হিসেবে ব্যাংকটি উপহার দেয়া হয়েছে—এমন কথা চাওর আছে বাজারে। কিন্তু প্রথম থেকেই রাজনৈতিক পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক লুটপাটের শিকার হয়ে লাটে ওঠে। সেখান থেকে পদ্মা ব্যাংক নাম দিয়ে ব্যাংকটিকে সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। বোঝা যাচ্ছে, সরকারের ওই প্রয়াস ফেল মেরেছে। কিন্তু ওই সাবেক মন্ত্রী ও লুটপাট করা ব্যক্তিদের কি কোনো শাস্তি হয়েছে? এবার এমপি নমিনেশন না পেলেও তিনি তো বহাল তবিয়তেই রয়েছেন! বেসিকের আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে শেষমেশ দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে, তিনি নাকি এখন পলাতক। কিন্তু কয়েক বছর আগেই তো বেসিককে ধ্বংস করে দিয়েছিল বাচ্চু। কই, তখন তো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি? রণ হক সিকদার এবং রিক হক সিকদার বেশ কয়েক বছর আগেই বন্ধুকের নল মাথায় ঠেকিয়ে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে বাধ্য করার ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। ওই ঘটনার জন্য তাদের কি কোনো শাস্তি পেতে হয়েছে?

২০০৯ সাল থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার দফায় দফায় আরো ৩০টিরও বেশি নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে, যার ফলে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই এ দেশে মোট বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৬১-তে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত প্রতিবারই নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে ক্ষমতানুযায়ী ওইসব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তার প্রতি অসম্মান জানিয়ে শীর্ষ মহল থেকে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স বিতরণ অব্যাহত ছিল। এভাবে ব্যাংক খোলার যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি আমি। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের কর্ণকুহরে ওই প্রতিবাদ পৌঁছেনি। এতদিন পর এখন সরকারের ব্যাংক মার্জারের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে দিয়েছে যে প্রয়োজনাতিরিক্ত ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্তগুলো অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত ছিল। পাঠকদের জানাচ্ছি, দেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হচ্ছে ১ কোটি ৫৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী। তারা ফরমাল চ্যানেলে কিংবা হুন্ডির মাধ্যমে যেভাবেই রেমিট্যান্স পাঠান না কেন তার একটা বড় অংশ নিরাপত্তার খাতিরে ব্যাংকে আমানত হিসেবে জমা হয়ে যাবেই। ফলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে আমানতের একটা ঢল চলমান রয়েছে। সেজন্য খেলাপি ঋণ সমস্যা তিন দশক আগেই মহাসংকটে পরিণত হলেও ব্যাংকগুলোকে এখনো বড়সড় তারল্য সংকটে পড়তে হয়নি। সরকারও যেহেতু ব্যাপারটা জানে তাই খেলাপি ঋণ আদায়ে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের সরকার কখনই সত্যিকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ঠাবান ছিল না। ১৯৯৮ সালে তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বিআইবিএম আয়োজিত প্রথম নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায় প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির ওই প্রস্তাবে কর্ণপাতও করেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসা ২০০১-০৬ মেয়াদের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এবং ২০০৭-০৮ সালের সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বরং বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর খেলাপি ঋণ লুকিয়ে ফেলাই ‘কালচারে’ পরিণত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ কর্তৃক ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেউলিয়া আদালতকে বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই একেবারে নিষ্ক্রিয় করে ফেলেছিল। দেউলিয়া আইনটি এখনো বহাল থাকলেও দেউলিয়া আদালতের ঘুম গত ২৩ বছরেও ভাঙেনি। বরং ২০০১ সাল থেকে খেলাপি ঋণ লুকিয়ে ফেলার সংস্কৃতি ২৩ বছরে ধাপে ধাপে এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল অভূতপূর্ব কয়েকটি ‘অযৌক্তিক ও অন্যায় সুবিধা’ দিয়ে রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিদের নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকেই উধাও করে দেয়ার ব্যবস্থা করে গেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় ঋণখেলাপিরা এখন ক্ষমতার আশপাশে থাকেন। অতএব খেলাপিঋণের প্রতি সরকারের এ ন্যক্কারজনক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখে ‘ব্যাংকের মার্জার’ ব্যাংক খাতকে সবল করে তুলবে আশা করা কি বাতুলতা নয়? 

ড. মইনুল ইসলাম: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি

একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন