জুলাই-মার্চ

বাংলাদেশ সার্ভিসেসের লোকসান বেড়েছে ৮৭ শতাংশ

বণিক বার্তা অনলাইন

সংগৃহীত

বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) লোকসান বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। গত ৩১মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৬ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ৭৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১ টাকা ৩৫ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পনিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছিল ৪৫ টাকা ৩৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া)। 

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা। 

৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি বিডি সার্ভিসেসের পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২৪ পয়সায়।

৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।  সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ৬ টাকা ৭৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা। আগের কয়েক হিসাব বছরেও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। সর্বশেষ ২০১৪ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগের হিসাব বছরেও একই হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।  

১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিডি সার্ভিসেসের অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯১৩। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশই রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি দশমিক ১৯ শতাংশ বিদেশী ও দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন