১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পর্ষদ ১ হাজার কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এক বা একাধিক ধাপে এ বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি। টায়ার-২ মূলধন বাড়াতে এ বন্ড ইস্যু করবে ইসলামী ব্যাংক। অবসায়নযোগ্য ও রূপান্তর অযোগ্য এ সাবঅর্ডিনেট বন্ডটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যু করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) আয় হয়েছে ৩১ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৪০ পয়সায়।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ২৪ পয়সায়। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ২৫ জুন ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ মে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৮২ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ টাকা ৮৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটির পর্ষদ। ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৩৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ৪২ দশমিক ৯৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১৩ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক শেয়ার সর্বশেষ ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩২ টাকা ৬০ পয়সা ও ৩৩ টাকা ২০ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন