হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা এজেন্সি মালিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এখনো প্রায় ২০ শতাংশ কাজ আটকে আছে। ফলে সময়মতো হজ প্রত্যাশীরা যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন এজেন্সি মালিকরা।

তারা বলছেন, এখনো বাংলাদেশের সকল হজ যাত্রীর মিনার জোন চূড়ান্ত হয়নি। পূর্ণাঙ্গ ও ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা হয়নি। এখনো হজ অফিস থেকে মুনাজ্জিমদের ভিসা দেয়নি তারা। অনেক এজেন্সির সৌদি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি, হজে যাওয়ার আগে টিকা নেওয়ার কথা বলা হলেও কোনো হাসপাতালে টিকা পৌঁছায়নি, সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ভিসার অপশন এখনো ওপেন হয়নি। সঙ্কট সমাধানে এজেন্সির মালিকরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

এ নিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ২০২৪ সালের হজ ব্যবস্থাপনার সকল প্রতিবন্ধকতা দ্রুত নিরসনে এক সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। ২০২৪ সালের অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা এই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে

লিখিত বক্তব্যে আল কুতুব হজ ট্রাভেলসের মালিক হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ সাধনার ফসল সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় এবার অভাবনীয় কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তার অবহেলা বা দায়িত্বহীনতার ফলে এসব জটিলতা তীব্র আকার ধারণ করছে। এগুলোর দ্রুত সমাধান না হলে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। যার জন্য বাধ্য হয়ে আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ্জ-১ শাখা হতে সৌদি সরকারের একটি চিঠির বরাতে জানানো হয়, আগামী ২৯ এপ্রিল হজ্জযাত্রীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আরো জানানো হয়, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আবশ্যিকভাবে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এজেন্সির অবহেলার কারণে হজ্জযাত্রীদের হজে গমন অনিশ্চিত হলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সব চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।’

আল কুতুব হজ ট্রাভেলসের মালিক বলেন, ‘অধিকাংশ এজেন্সি এখন পর্যন্ত হজের আনুষঙ্গিক কাজকর্ম সম্পাদন করতে পারেনি, এ কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।’

তাছাড়া এজেন্সি মালিকদের ভিসা জটিলতার কারণে মালিকরা সৌদি গমন করতে পারেননি এবং এখনো সৌদি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয়নি। সৌদিতে বাড়িভাড়া করা হয়নি এবং ২০ এপ্রিলের মধ্যে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে টিকা দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছিল, সেই টিকা এখনো কোনো হাসপাতালে পৌঁছায়নি। এতকিছু বাকি থাকার পর ২৯ এপ্রিল ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে সার্কুলার দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ অসম্ভব। হজযাত্রীদের আনুষঙ্গিক সবকিছু সম্পাদন করার জন্য মক্কা হজ মিশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সঙ্গে বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে না পারলে হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন