ঈদের পরদিন রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ২টায় ওই পরিবারের নয় বছর বয়সী সদস্য সুজনের মৃত্যু হয়। তার বড় বোন লিজাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় এর আগে দগ্ধ সুজনের বাবা লিটন, মা সূর্য বানু, বোন লামিয়া ও নানি মেহেরুনন্নেছার মৃত্যু হয়েছে।
তারমধ্যে ১৫ এপ্রিল মারা যান সূর্য বানু, এর দুইদিন আগে ১৩ এপ্রিল তার মা মেহেরুন্নেছার মৃত্যু হয়। সুজনের বোন লামিয়া মারা যায় গত ১৯ এপ্রিল।
পরিবারটির সবশেষ সদস্য সুজনের আরেক বোন লিজার চিকিৎসাধীন চলছে বার্ন ইন্সটিটিউটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থাও আশংকাজনক।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ভোরে ভাসানটেকের শ্যামল পল্লীর একটি দুই তলা বাড়ির নিচতলার বাসায় মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে ঘরে গ্যাস জমে যাওয়ায় এআগুনের ঘটনা ঘটে বলে সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল।