বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স

দেশের ব্যবসা পরিবেশে উন্নতি যৎসামান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদায়ী বছর দেশের ব্যবসা পরিবেশ সূচকে উন্নতি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। ভূমির প্রাপ্যতা, কর পরিশোধ মূলধন প্রাপ্যতার অবনতি ঘটায় সূচকে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিএক্স) ২০২২-২৩ শীর্ষক সূচকের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এটি তৈরি করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি)

এতে বলা হয়, গত বছর ব্যবসা পরিবেশ সূচক দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, যা ২০২১ সালে ছিল ৬১ দশমিক শূন্য পয়েন্ট। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সূচকের ১০টি ভিন্ন দিক বিবেচনায় সূচক তৈরি করা হয়েছে।

সূচকে দেখা গেছে, নীতিগত তথ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে ব্যবসায় অর্থায়ন পাওয়ার ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। ২০২১ সালে এটির স্কোর ছিল ৫০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। তবে চলতি বছর তা কমে ৩৫ দশমিক ২২ পয়েন্টে নেমেছে। জমির প্রাপ্যতা কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ এবং কর প্রদানের হার কমেছে দশমিক শূন্য শতাংশ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (পিইবি) চেয়ারম্যান . মাশরুর রিয়াজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (জ্যেষ্ঠ সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা নানা কারণে ঋণ পেতে বাধার সম্মুখীন হন, এটা ঠিক। তাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিডা ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি কর্মকর্তারা কথাবার্তায় স্মার্ট হলেও কাজে স্মার্ট নয়। তিন বছর ধরে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপির উন্নয়নের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। তারা সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সিইটিপি উন্নত হলে, অর্থাৎ সেখানে ব্যবসার পরিবেশ ঠিক হলে বর্তমানের চেয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলার বেশি রফতানি সম্ভব।

. মাশরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই একটি উল্লেখযোগ্য খাত। খাতের উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই নারী। তাদের নিজের নামে উল্লেখ করার মতো সম্পদ থাকে না। যা থাকে, হয়তো স্বামীর নামে নয়তো বাবার নামে। ফলে তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত দিতে পারেন না। তাই অর্থায়নের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা চট্টগ্রামের বাইরের এলাকাগুলোয় করদাতার সংখ্যা নামমাত্র। কর দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো জটিলতা দেখা যায়। পদ্ধতিগত নীতিগত জটিলতাও রয়েছে। ফলে অনেকেই ট্যাক্সে দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ পান না। এখানে অনেক বেশি কাজ করা দরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন