২০২২
সাল শেষ।
স্বাগত ২০২৩।
কী থাকছে
এ সালে—এ
প্রশ্ন আমাদের
মনে ঘুরপাক
খাচ্ছে। আমরা
কেউ-ই
গণক নই,
হলফ করে
বলব এই
ঘটবে। তবে
২০২২ সালের
ঘটনাগুলোর কিছু
রেশ আমাদের
ওপর থাকবে
২০২৩ সালে,
তা বলা
যায়। দুটি
ঘটনা নিয়ে
আমি চিন্তা
করতে বলব।
একটি ইউরোপের
ইউক্রেন যুদ্ধ,
অন্যটি ঢাকায়
মেট্রোরেলের উদ্বোধন।
এ দুটি
ঘটনাই সম্ভবত
আমাদের ভবিষ্যেক
প্রভাবিত করবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ
থেকে শুরু
করি। ২০২২
সালের ফেব্রুয়ারিতে
শুরু হওয়া
এ যুদ্ধ
সহজে যে
শেষ হবে
না তা
হয়তোবা আমরা
অনেকেই জানি।
কী হবে
শেষ পর্যন্ত?
২৯ ডিসেম্বরের
সংবাদ। রাশিয়া
থেকে পাঠানো
পারমাণবিক চুল্লির
অংশ নিয়ে
যে জাহাজটি
চট্টগ্রাম বন্দরে
এসেছিল তাকে
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে
পড়ে বাংলাদেশ
প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ ভাবছে
মালপত্রসমেত জাহাজটি
ভারতে নোঙর
করে মালপত্র
অন্য জাহাজে
করে বাংলাদেশে
আনবে।
বিগত সময়ে
এশিয়া ও
আফ্রিকা ছিল
দর্শকের কাতারে।
খেলা চলছে
ইউরোপে। বাদ্য
বাজাচ্ছে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র ও
তাদের মিত্ররা।
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে
ইউক্রেনবাসী। তালি
বাজাচ্ছে ইউরোপের
কোনো কোনো
দেশ। যুদ্ধের
প্রথম দিকে
ধারণা করা
হয়েছিল মাস
দুয়েকের মাঝে
রাশিয়া ইউক্রেন
দখল করে
ফেলবে। যুদ্ধ
শেষ হবে।
কিন্তু তা
হয়নি। কারণ
যুদ্ধের দামামা
বাজাচ্ছে অন্যরা।
যুদ্ধকে একেবারে
অহেতুক বলা
যাবে না।
কারণ যুদ্ধের
যেমন চাহিদা
রয়েছে, তেমনি
জোগানও রয়েছে।
আফগানিস্তান, ইয়েমেন
কিংবা সোমালিয়ার
যুদ্ধ স্তিমিত
হয়ে যাওয়ায়
সমরাস্ত্র সরবরাহকারী
কোম্পানি ও
তাদের দেশের
যুদ্ধের চাহিদা
বাড়তে থাকে।
যুদ্ধ না
থাকলে সমরাস্ত্রের
চাহিদা থাকে
না, তাই
তাদের চাহিদা
থাকে যুদ্ধের।
এত বড়
পৃথিবীতে যুদ্ধ
না থাকলে
কিংবা শান্তি
থাকলে পৃথিবীতে
কেউ কি
অস্ত্র তৈরির
কারখানা গড়ে
তুলবে? আর
তাই নানাভাবে
যুদ্ধের চাহিদা
তৈরি হয়।
তবে যুদ্ধ
করবে কে?
বুশ এবং
ক্লিনটন নিজেরা
সে কাজটি
করেছেন। আফগানিস্তান,
ইরাক কিংবা
সিরিয়ায় আগুন
ছড়িয়েছেন। সৈন্য
পাঠিয়েছেন। যুদ্ধ
বাধিয়েছেন। ভুলে
গেলে চলবে
না তারা
নাটকও সাজিয়েছিলেন
যুদ্ধে যোগ
দেয়ার জন্য।
মিথ্যা উপাখ্যানও
তৈরি করেছেন।
একা করেননি।
সঙ্গে ছিল
ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া
এবং কানাডা।
মরছিল অভাগা
ইরাকি, সোমালি
কিংবা আফগানিরা।
যে ইরাক
একদিন বাংলাদেশের
মানুষকে কর্ম
দিয়েছিল, তারাই
শেষ পর্যন্ত
হয়েছিল সর্বস্বান্ত।
এলেন ওবামা,
তার কৌশল
ছিল ভিন্ন।
তিনি দেখলেন
যুদ্ধ নিজে
করাটা সঠিক
হবে না।
তাতে আমেরিকানদের
মরতে হবে।
তাই তার
কৌশল ছিল
যুদ্ধ বাধানো
কিংবা বলা
চলে অশান্তি
সৃষ্টি করা।
আর অশান্তি
সৃষ্টি মানেই
যুদ্ধের প্রস্তুতি।
অস্ত্রের চাহিদা
বৃদ্ধি। তার
স্লোগান ছিল—রঙিন
বিপ্লব। মধ্যপ্রাচ্য,
ইউক্রেনসহ বহু
দেশে নানা
রঙের বিপ্লব
ঘটিয়ে দিলেন।
মূলে ছিল
ইন্টারনেট প্রযুক্তি।
মুক্তবুদ্ধির চর্চার
নামে প্রচারিত
এসব রঙিন
বিপ্লব ঘটিয়ে
পুতুল সরকার
বসিয়ে অস্ত্রের
ব্যবসা করা
নিজের যুদ্ধ
করার চেয়ে
শ্রেয়। তাই
তিনি চললেন
এ পথে।
অনেকদিন পর
সাবেক জার্মান
চ্যান্সেলর মারকেল
তা সেদিন
প্রকাশ করলেন।
তিনি জানালেন
পশ্চিমা বিশ্ব
২০১৪ সালে
ইউক্রেনের জন্য
মিন্সক চুক্তিতে
সম্মত হয়েছিল
সময় নিতে।
তাতে তারা
ততদিনে ইউক্রেনকে
[প্রচুর অস্ত্র
বিক্রয় করে—এ
কথাটি উহ্য
ছিল] শক্তিশালী
করে গড়ে
তুলতে পারবেন।
অবস্থা ভালোই
চলছিল। কিন্তু
বাদ সাধলেন
পুতিন। তিনি
বেঁকে বসলেন
সিরিয়ার ক্ষেত্রে।
ফলে পৃথিবীর
ঘড়ির কাঁটা
উল্টো দিকে
ঘুরে গেল
প্রায় ২৫
বছর পর।
কথায় বলে
২৫ বছর
বহু সময়।
ততদিনে জাতি
অনেক কিছু
ভুলে যায়।
নাগরিক তো
বটেই, এমন
সময় মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয়
পরাজয় ঘটল
কাবুলে। প্রথমবার
পরাজিত হয়েছিল
ভিয়েতনামে। এবার
পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র
হারল তালেবানের
কাছে। যাদের
হাতে ছিল
না শক্তিশালী
কোনো অস্ত্র,
তবে ছিল
একটি পাগড়ি,
পুরনো টায়ারের
তৈরি চপ্পল
আর গাদা
বন্দুক। পৃথিবীতে
আবারো প্রমাণিত
হলো জাতির
প্রাণশক্তির কাছে
অস্ত্র কিছুই
না। ২০২২
সালে রাশিয়াও
ভেবেছিল অস্ত্রই
সব। তাদের
অস্ত্রের কাছে
সবাই পরাজিত
হবে। পরাজিত
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে
রাশিয়ার জয়
হতো তৃতীয়
পরাজয়। তাই
তারা এবং
তাদের মিত্ররা
যুদ্ধের আগুনে
ঝাঁপ দিল।
ভাবতে পারেন
তবে কি
যুদ্ধ থামবে
না? অবশ্যই
থামবে। তবে
শিকার কাউকে
না কাউকে
হতে হবে?
ইউক্রেন যুদ্ধের
শিকার কে
হবে? চীন?
সাবধানী চীন
তা হতে
চাইবে না।
ভারত? নাহ
তারাও দূরে
থাকতে চাইবে।
তাদের সঙ্গে
সঙ্গে আরো
অনেক এশীয়
দেশ দূরে
থাকার আপ্রাণ
চেষ্টা করবে।
তাই আফ্রিকা
ও এশিয়া
এখনো দর্শকের
কাতারে। ২০২২
সাল এভাবেই
গিয়েছে। ২০২৩
সাল কি
তাই হবে?
আমি মনে
করি, এশিয়া
ও আফ্রিকা
এখন আর
উপনিবেশ নয়।
তবে তাদের
এ নিরপেক্ষ
অবস্থান উপনিবেশবাদীরা
ভালোভাবে নেবে
না। তবে
শেষ পর্যন্ত
যদি তারা
নিরপেক্ষ থেকেই
যায় তবে
সেক্ষেত্রে শিকার
হবে যুক্তরাষ্ট্র
কিংবা ইউরোপ।
কীভাবে? যুদ্ধ
চলতে থাকলে
২০২৩ সাল
হবে ইউরোপের
জন্য ভয়ংকর।
পৃথিবীর সব
ব্যবসা ও
বিনিয়োগ ধাবিত
হবে এশিয়ায়।
প্রথমত জ্বালানির
অনিশ্চয়তা, দ্বিতীয়ত
যুদ্ধের ঝুঁকি,
তৃতীয়ত মূল্যস্ফীতি
এসব কারণে
ইউরোপ বিনিয়োগ
কিংবা ব্যবসার
জন্য আকর্ষণীয়
নয়। এসব
নেই আফ্রিকা,
এশিয়া ও
দক্ষিণ আমেরিকায়।
তাই ব্যবসা
ও বিনিয়োগ
সে দিকেই
যাবে। তবে
এদের মধ্যে
এশিয়ার রয়েছে
কিছু বিশেষ
সুবিধা। প্রথমত
এশিয়ার বৃহত্তম
দুটি দেশ
যেমন ভারত
ও চীনের
রয়েছে বিশাল
জনগোষ্ঠী, উচ্চগতির
অর্থনীতি এবং
বলিষ্ঠ বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি
শক্তি। তার
ওপর তাদের
সঙ্গে রয়েছে
রাশিয়া থেকে
পাওয়া সস্তা
জ্বালানি। ফলে
বাজারে টিকে
থাকতে হলে
পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের
হয় এখানেই
বিনিয়োগ করতে
হবে নতুবা
হতে হবে
অধুনালুপ্ত ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানি।
এর ফলে
ইউরোপ হারাবে
তার শিল্প
খাত, ব্যবসা
ও আয়ের
প্রধান উৎস।
আমরা জানি
ইউরোপ তার
শিল্প খাতের
উদ্বৃত্ত হতেই
কৃষিতে ভর্তুকি
দিয়ে থাকে।
যুদ্ধ ২০২৩
সালে যদি
বন্ধ না
হয় তবে
শিকার হতে
হবে ইউরোপকে।
তারাই শেষ
পর্যন্ত হারাবে
সবকিছু। পরিণত
হবে আধুনিক
গ্রিস দেশে।
অর্থাৎ গ্রিসে
এক কালে
ছিল জ্ঞান
ও প্রযুক্তি
শক্তি, তা
সত্ত্বেও তারা
পরিণত হয়েছে
ইউরোপের পর্যটক
কেন্দ্রে। এবারে
কি শেষ
পর্যন্ত গোটা
ইউরোপ পরিণত
হবে চীন
ও ভারতবাসীর
পর্যটন কেন্দ্রে?
বলা যত
সহজ কার্যত
তত সহজে
তা ঘটবে
না। কথায়
বলে হাতি
মরলেও বেশ
দামি হয়।
তাই ২০২৩
সাল হবে
সবার জন্য
কষ্টকর। ইউরোপ
ও আমেরিকা
চাইবে সবাই
তাদের দলে
যোগ দিক।
সবাই রাশিয়াকে
একঘরে করুক।
অন্যদিকে চীন
ও ভারত
চাইবে সুযোগটি
নিতে। তাতে
ইউরোপ ধসে
পড়বে। উত্থান
হবে নতুন
এক শক্তির।
কেউ কাউকে
ছাড়বে না।
চাপে পড়বে
আমাদের মতো
দেশগুলো। তাই
২০২৩ সালে
গা-বাঁচিয়ে
চলাটা কষ্টকর
হবে। জোটে
থাকতে হবে।
ভারত, চীন,
ব্রাজিল, ইরান,
মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম,
দক্ষিণ আফ্রিকা
ও সৌদি
আরবকে সঙ্গে
রেখে সামনে
যাওয়াটাই হবে
বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ।
আমাদের ক্রমবর্ধমান
প্রবৃদ্ধি নির্ভর
করবে আমাদের
পররাষ্ট্র নীতির
সঠিক পদক্ষেপের
ওপর। সাম্প্রতিক
কালে বাংলাদেশ
হয়তোবা কখনই
এতটা সংকটে
পড়েনি।
দ্বিতীয় ঘটনাটিও
২০২৩ সাল
ও পরে
আমাদের অর্থনীতিকে
প্রভাবিত করবে।
২৮ ডিসেম্বর
চালু হয়েছে
ঢাকার মেট্রোরেল।
শেষ এখনো
হয়নি। যে
সংবাদটি আমার
নজর কেড়েছে
তা কিন্তু
অন্য। মেট্রোরেলের
যে চালক
ট্রেনটি চালিয়েছেন
তিনি একজন
নারী। যিনি
একটি বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে কেমিস্ট্রিতে
স্নাতক করেছেন।
অনেকেই গর্বিত।
তবে তার
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ও তার
চাকরির ধরন
দেশে বিজ্ঞান
শিক্ষার অত্যন্ত
দুঃখজনক দিকের
বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
বলাবাহুল্য দেশে
বিজ্ঞান শিক্ষায়
শিক্ষার্থীর আগ্রহ
ক্রমাগত কমছে
কিংবা বলা
চলে বিজ্ঞান
শিক্ষায় শিক্ষিতরা
শেষ পর্যন্ত
কর্মক্ষেত্রে তা
ব্যবহার করতে
পারছেন না।
এ অবস্থা
আজকের নয়।
বহুদিনের। দেশের
কৃষিবিদ, প্রকৌশলী
কিংবা ডাক্তাররা
তা বুঝেছেন
অনেক আগেই।
তাই দেখবেন
তারা বহু
দিন যাবৎ
ব্যর্থ চেষ্টা
করে এসেছেন
নিজেদের রক্ষা
করতে। গড়েছেন
নানা সমিতি
যারা একসময়
এতটাই শক্তিশালী
কোটারিতে পরিণত
হয়েছিলেন, খোদ
সরকারই তাদের
ভয় পেত।
গণতন্ত্র ফেরত
আসার পর
তারা আর
ততটা শক্তিশালী
নন, তবে
তারা এখন
দ্বিধাবিভক্ত দলীয়
শক্তি। তবে
তাদের মূল
অবস্থান ছিল
দেশে বিজ্ঞান
শিক্ষার প্রসার
ও দেশকে
বিজ্ঞান এবং
প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধিশালী
করা। দীর্ঘ
৪০ বছরের
চেষ্টায় তারা
তা করতে
পারেননি। বস্তুত
বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তিতে শক্তিশালী
হতে হলে
সরকারকে নতুনভাবে
ভাবতে হবে।
কয়েকটি উদাহরণ
দিই।
১৯৮০ সাল।
চীন সরকার
দেশে মুক্ত
অর্থনীতির চর্চা
বাড়িয়েছেন। কোটি
কোটি লোকের
দেশের অর্থনীতিতে
পণ্য বিক্রয়
করতে সবাই
আগ্রহী। নিজেদের
পণ্যের দাম
কমাতে পশ্চিমা
দেশগুলো নিজেদের
মধ্যে প্রতিযোগিতা
করে বাড়িয়ে
যাচ্ছিল কৃষি
ভর্তুকি। একই
সময় চীনা
অর্থনীতিতে বিনিয়োগ
বাড়াচ্ছিল অনেক
পশ্চিমা কোম্পানি।
চীন দেখল
এসব কোম্পানি
লাখ লাখ
টাকার পণ্য
চীনের বাজারে
বিক্রয় করছে
কিন্তু গবেষণা
করছে নিজ
দেশে। তাতে
চীনের বিজ্ঞান
শিক্ষায় শিক্ষিতরা
চাকরি পায়
না। চীন
সরকার বলল,
যেসব কোম্পানি
চীনে গবেষণার
শাখা খুলবে
ও গবেষণা
করবে সেসব
বিদেশী কোম্পানি
গবেষণার খরচের
জন্য কর
সুবিধা পাবে।
কিছুদিনের মধ্যেই
চীনে গবেষণা
ব্যয় বাড়তে
থাকে। বহু
কোম্পানি পশ্চিমা
বিশ্ব থেকে
গবেষণা আংশিকভাবে
হলেও চীনে
নিয়ে আসে।
১৯৯০ সাল।
চীনের সরকার
দেখতে পায়,
গবেষণার ফলে
নতুন যত
পণ্য বের
হচ্ছে তার
পেটেন্ট কিন্তু
চলে যাচ্ছে
তাদের মূল
দেশে। বিষয়টি
তারা ভালোভাবে
নেয় না।
কারণ গবেষণা
করেছেন চীনা
বিজ্ঞানীরা। গবেষণা
হয়েছে বিদেশী
কোম্পানির চীনা
অংশে। তাই
পণ্যের পেটেন্ট
চীনেই হওয়া
উচিত। তারা
নতুন আইনে
বাধ্য করে
সব কোম্পানিকে
চীনে তাদের
পেটেন্ট করতে।
তাদের মতে,
চীনের করদাতার
সহায়তায় গড়ে
তোলা গবেষণাগারগুলো
চীনের গবেষক
দ্বারা পরিচালিত
হয়। অতএব
গবেষণার ফসলও
চীনে পেটেন্ট
হবে। পেটেন্টের
মালিক চীন
সরকার হবে
না। মালিকানা
থাকবে সে
বিদেশী কোম্পানির
চীন শাখার।
তাই প্রযুক্তির
দখল থাকবে
চীনের। ২০০০
সালের পর
থেকে ক্রমে
বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তির দখল
চীনের হয়।
চীন বহুবিধ
প্রযুক্তির মালিক
হয়। যার
মূলে রয়েছে
চীনা বিজ্ঞানী
ও প্রকৌশলী।
যে দেশে
গবেষণা সংস্কৃতি
নেই সে
দেশে গবেষক
লাগে না।
যে দেশে
গবেষক লাগে
না সে
দেশে বিজ্ঞান
শিক্ষা বাহুল্যমাত্র।
এর প্রচার
হবে, প্রসার
হবে না।
চীনের উদাহরণ
আমাদের বলে
যে দেশী
ও বিদেশী
কোম্পানিকে গবেষণায়
যুক্ত করতে
হলে সরকারকে
করনীতিতে পরিবর্তন
আনতে হবে।
তাতে দেশের
প্রযুক্তি সমৃদ্ধ
হবে। বিজ্ঞান
শিক্ষা দেশকে
সমৃদ্ধ করবে।
অন্যথায় বিজ্ঞান
শিক্ষায় শিক্ষিতরা
বিদেশে পাড়ি
জমিয়ে অন্য
দেশকে সমৃদ্ধ
করবে। দেশ
থেকে যাবে
বিদেশী প্রযুক্তিনির্ভর।
কখনো কি
ভেবে দেখেছেন
পৃথিবীর দ্বিতীয়
বৃহত্তম বস্ত্র
রফতানিকারক দেশ
হওয়া সত্ত্বেও
গত ৪০
বছরে বাংলাদেশ
কেন বস্ত্র
খাতের জন্য
একটিও নতুন
প্রযুক্তি তৈরি
করতে পারেনি?
আশা
করি ভাববেন।
ড. এ. কে. এনামুল হক: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ও পরিচালক, এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট