কারণ ছাড়াই দর বাড়ছে মেট্রো স্পিনিংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ের অস্বাভাবিক লেনদেন শেয়ারদর বাড়ার পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিঠির জবাবে গতকাল তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ১৭ আগস্টের পর থেকেই ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায়। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে টাকা ৫০ পয়সা বা ৩৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটির মোট ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৮০৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬২ পয়সা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৮ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি মেট্রো স্পিনিং। মূলত আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সেই লভ্যাংশ অনুমোদন করেনি। ফলে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীরা কোনো লভ্যাংশ পায়নি।

২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৬ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৫৩ পয়সা।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৮ হিসাব বছরে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০০২ সালে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক ৩০ দশমিক শূন্য শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৪ দশমিক শূন্য শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৫৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন