উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা। আবার কৃষকদের কী প্রয়োজন সেটি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে পৌঁছতে পারেন সম্প্রসারণ কর্মীরা। এজন্য বিজ্ঞানী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্প্রসারণ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো দ্রুত মাঠে সম্প্রসারণ করলে আমাদের কৃষকরা বেশি উপকৃত হবে তেমনি টেকসই কৃষি অর্জন সম্ভব হবে।
গতকাল কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব সাম ফিল্ড লেভেল এক্সটেনশন ওয়ার্কার্স অব ডিএই, ডিওএফ, ডিএলএস অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ ফারমার্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের ইনসেপশন কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পুলের সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।
যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) ও বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার (বাগ)। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন কেজিএফ নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিএফআরআই) সাবেক মহাপরিচালক ও বাগের সাধারণ সম্পাদক ড. এমএ মজিদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এরই মধ্যে ফসলের অনেকগুলো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংযোগ বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোও অনেক নতুন প্রযুক্তি ও জাত নিয়ে এসেছে। এসব প্রযুক্তি ও জাত কৃষকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। এছাড়া কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। ফসল আবাদে নানা ধরনের পরামর্শ ও তথ্য দেয়ার পাশাপাশি উচ্চফলনশীল শস্যের নতুন জাত ও আবাদের পদ্ধতি সম্পর্কিত সব তথ্যই সম্প্রসারণ কর্মীদেরকেই দিতে হবে।
গতকালের অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির সাবেক মহাপরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়ক ড. মো. আবুল কালাম আযাদ।