কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে সেল গঠন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএআরসি মিলনায়তনে গতকাল কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ছবি: পিআইডি

দেশে কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য . মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, দেশে এখন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে কৃষি উদ্যোক্তারা কে কী ফসল চাষ করবেন, কোন ধরনের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করবে, তাদের কী সহযোগিতা দরকারএসব বিষয়ে দেখভাল, সহযোগিতা যোগাযোগ রক্ষা করবে এই সেল।

গতকাল ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথা বলেন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন বিসেফ ফাউন্ডেশন এবং বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের কৃষি উদ্যোক্তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে আনার উপায় খোঁজা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান মানবিক অর্থায়নে সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত করতে ভরসার নতুন জানালা শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজন। দেশের ৩৩টি জেলা থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। সাবেক কৃষি সচিব সম্মেলন সমন্বয়ক আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে ইউসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত জামিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাকিম, বিসেফের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, বছর সারা দেশে ২৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষিঋণ বিতরণের খোঁজখবর রাখতে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কৃষকরা সঠিকভাবে ঋণ পাচ্ছেন কিনা, ঋণ পেতে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কিনা, কোন জেলায় কী পরিমাণ ঋণ বিতরণ হচ্ছেএসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে এরই মধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পূজা কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে . রাজ্জাক বলেন, এবারের দুর্গা পূজায় যে সহিংসতা হয়েছে, সনাতন ধর্মাবলম্ব্বীদের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এটি আমাদের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। ধরনের ঘটনা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। ধর্মের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যারা রংপুরের জেলেপল্লীতে মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর আগুনে পুড়িয়েছে, তারা অমানুষ, পশুতুল্য বর্বর। ধর্মান্ধ বর্বরদের শেকড় সমূলে উৎপাটন করতে হবে। আমরা মানবতায় বিশ্বাস করি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, গারো, চাকমা, হাজং, বাঙালিসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলে আমরা একটা জাতি। দেশটি সব মানুষের, এখানে সবার সমান অধিকার। আমরা মানুষ, এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন