সারা দেশে গণটিকা কার্যক্রম চলছে

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : পলাশ শিকদার

নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ শনিবার।  আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ কর্মকাণ্ড।  সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া টিকাদান চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।  ছয় দিনে পর্যায়ক্রমে ৩২ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে।

রাজধানীর চলমান টিকা কেন্দ্র ছাড়া উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪ ওয়ার্ডে ৫৪টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫ ওয়ার্ডে ৭৫টি অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হল। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তাদের প্রত্যেকের জন্যই দ্বিতীয় ডোজের টিকাও সরবরাহ করে রাখা হবে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।’

বণিক বার্তার জেলা উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে করোনার প্রতিরোধক গণটিকা প্রদান শুরু হয় বেলা ১১টায়।কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ ওয়ার্ডের সর্বমোট ৬ হাজার ৬০০ জনকে এখন পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে। 

বাগেরহাটের ৭৮টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সাধারণ জনগণ টিকা নিতে আসছেন। সকালে জেলার ৯টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ও মোংলা পৌরসভায় গণটিকা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত দিন পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এ টিকা কার্যক্রম চলবে। ২৫ বছর বয়সী যে কেউ জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আসলে টিকা গ্রহন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নের সুবিধামতো স্থানে আমরা টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। যে ইউনিয়নবাসীর জন্য যেখানে করলে সুবিধা হয় সেখানেই টিকাদানের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সুষ্ঠ ও স্বাভাবিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরাও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও ইউনিয়ন পর্যায়ে টহল দিচ্ছে।’ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শণ করবেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদানের কায়ৃক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ৭৮টি কেন্দ্রে আমরা ৪৫ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করব। তবে যদি কোনো কেন্দ্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্রহীতা আসেন, তাদেরকেও টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের টিকার মজুদ রয়েছে। এজন্য ৪৫ হাজার টিকার লক্ষ্য মাত্রার বিপরীতে আমরা ৬০ হাজার ৮০০ সিনো ফার্মার টিকার মজুদ রেখেছি।’

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রোকোণার ১০ উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার ৯৮টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন,জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া। নেত্রকোনার ইউনিয়ন ও পৌরসভার কেন্দ্রগুলোতে মোট ৫৪ হাজার টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ  হয়েছে। এই টিকা কর্মসূচীতে গ্রাম পর্যায়ের মানুষজন, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি এবং নারীদের অগ্রাধিকারের দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া গণটিকা প্রদানের আওতায় অন্যান্য সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোতে এ কর্মসূচি চলছে বলেও জানিয়েছেন বণিক বার্তার প্রতিনিধিগণ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন