গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের উদ্যোগে পালিত হল সজীব ওয়াজেদ জয় এর জন্মদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুলাই রাত ০৮ ঘটিকায় অনলাইনে সরকারি আইসিটি পেশাজীবীদের সংগঠন "গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম" এর আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ  জয়ের ৫১ তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, এমপি, সদস্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী  কমিটি, জনাব এন এম জিয়াউল আলম,  পিএএ, সিনিয়র সচিব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডঃ আবদুল জব্বার খান, প্রো-ভিসি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শারমিন আফরোজ, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সভাপতি গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী রতন চন্দ্র পাল, প্রোগ্রামার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মহাসচিব গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম। সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রোগ্রামার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও কোর টিম মেম্বার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা। 

প্রধান অতিথি মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন আজ আইসিটি উপদেষ্টা মহোদয়ের ৫০তম জন্মবার্ষিকী, উনি মধ্য বয়সের এখন একই উনার পরিণত বয়সে ২০৪১ সালে উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন  আইসিটি প্রকৌশলীরা সকল ক্ষেত্রে অগ্রণী সেনানীর মত কাজ করে চলেছেন, তারা দেশ গঠনে নিবেদিত প্রাণ। আইসিটি ক্যাডার প্রণয়নে আইসিটি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি একটি ডিজিটাল সোসাইটি তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সেই সোসাইটির জন্য প্রয়োজন  ডিজিটাল লিডারশীপ। সেই লিডার হবেন এই আইসিটি প্রকৌশলীরা।

মুখ্য আলোচক তার আলোচনায় জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মময় জীবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার ভূমিকার কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তাছাড়া তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ও সরকারের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য দক্ষ আইসিটি পেশাজীবী গড়ে তোলার লক্ষ্য আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেন। আইসিটি ক্যাডারে প্রণয়নে তাঁর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথি জনাব ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি মহোদয় তার বক্তব্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো তাহলে আমরা করোনা মোকাবেলা করে বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ কাজই করতে পারতাম না। আগামীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড আরো বেগবান হবে এই আশা ব্যক্ত করছি।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ তার বক্তব্যে বলেন আইসিটি পেশাজীবীগণ দিনরাত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও আরো উন্নততর কাজের পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। 

বিশেষ অতিথি প্রকৌশলী আব্দুস সবুর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সহ আইসিটি উপদেষ্টা মহোদয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা উল্লেখ করেন। 

ফোরামের সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে আইসিটি পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি তার বক্তব্য এ সরকারের সকল কাজে আইসিটি পেশাজীবীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার ও  কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষার কোর টিম মেম্বার এ. এস. এম. হোসনে মোবারক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন