কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে চালু হওয়া দেশব্যাপী অনলাইন হাটে মোট পশু বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি, যার মোট মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গরু ও মহিষ বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০টি এবং ছাগল ও ভেড়া বিক্রি হয়েছে ৯০ হাজার ৮৬৯টি। এবারের ঈদুল আজহার আগের দিন (২০ জুলাই) পর্যন্ত ডিজিটাল হাটসহ ১ হাজার ৮৪৩টি অনলাইন হাট থেকে এ পশু বিক্রি হয়।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু করা স্ক্রো সেবার মাধ্যমে এবার ডিজিটাল হাট থেকে সরাসরি ২৪টি পশু বিক্রি হয়েছে এবং ২৬৫টি পশু স্লটারিং করে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্লটারিংয়ের জন্য বুক করা পশুগুলোকে জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের শিডিউল মোতাবেক ঈদের দিন ক্রেতার বাসায় ডেলিভারি দেয়া হয়। অন্যান্য পশু ক্রেতার বাসায় সরাসরি ডেলিভারি করা হয়। ৮০ ভাগ পশু ঈদের একদিন আগে ডেলিভারি দেয়া হয়, বাকি ২০ ভাগ পশু ঈদের আগের দিন সফলভাবে ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়।
ডিজিটাল হাট থেকে সরাসরি ১ হাজার ৫৬৫টি পশু বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৪৫৭টি গরু ও মহিষ এবং ১০৮টি ছাগল ও ভেড়া। মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় চালু করা হয়েছিল ডিজিটাল হাট। যেখান থেকে ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত কোরবানির পশু বেচা-কেনার সুযোগ ছিল।
ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, গতবার আমরা ২৭ হাজার পশু বিক্রি করেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল কমপক্ষে এক লাখ পশু বিক্রি করা। সারা দেশের ১ হাজার ৮৪৩টি অনলাইন হাট থেকে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছে, যার মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এতে প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমনি ন্যায্যমূল্যে পশু ক্রয় করতে পেরেছেন ক্রেতারা। ডিজিটাল কোরবানির হাট করোনাকালীন চাপে থাকা গ্রামীণ অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও প্রাণ সঞ্চার করেছে।
গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে। ই-ক্যাব, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন সহযোগিতায় ছিল মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, একশপ, ফুড ফর ন্যাশন। অন্যান্য সহযোগিতায় ছিল দারাজ বাংলাদেশ, এসএসএল কমার্জ, এবি ব্যাংক, মাস্টার কার্ড, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশনস, ফিউচার স্কাই লিমিটেড ও মানবসেবা ফাউন্ডেশন।