পতনের দিনেও লেনদেনে রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা আট কার্যদিবস ধরে উত্থানের পর গতকাল পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। তবে পতনের মধ্য দিয়েও গতকাল দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জে চার মাসের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ১২টি খাতের বেশির ভাগ শেয়ারদরে পতন হলেও ভিন্নচিত্র ছিল বীমা খাতে। আলোচ্য খাতটিতে গতকাল ৬৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে এবং ডিএসইর মোট লেনদেনের সর্বোচ্চ হয়েছে খাতটিতে। গতকাল লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ কোম্পানি ফান্ডের বাজারদর কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা নিরলসভাবে বাজারে বিনিয়োগ করে চলেছেন। প্রতিনিয়ত নতুন তহবিল বিনিয়োগের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।  সেই সঙ্গে লাভজনক হবে এমন খাতে বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। তবে বীমা খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ আলোচ্য খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর যৌক্তিক দরের থেকে অনেক বেশি। বীমা খাত নিয়ে কারসাজিকারীরা বিনিয়োগকারীদের কাছে খাতটিকে লাভজনক দেখিয়ে আকর্ষিত করে তুলেছে। সেই লাভের আশায় খাতটিতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নজর দেবে বলে আশা করছেন তারা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তার কিছু সময় পরেই সূচকের বড় পতন ঘটে। পরে আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করলেও দিন শেষে পতন হয় সূচকের। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে হাজার ৮২৯ দশমিক ২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল হাজার ৮৪০ দশমিক শূন্য পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, রবি, লাফার্জহোলসিম, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের।

এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে হাজার ২৮১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ২৮৫ দশমিক শূন্য পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে গতকাল হাজার ১৯৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ১৯৯ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর আগে বছরের গত ১৭ জানুয়ারি সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল, সেদিন হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ২১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ দখলে নিয়েছে সাধারণ ব্যাংক খাত। ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন