বিকন ফার্মার মুনাফা বেড়েছে ৭০৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৭০৪ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

বিকন ফার্মার আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৫ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে টাকা ৭৬ পয়সা বা ৭০৪ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৫ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে টাকা ৭২ পয়সা বা ২৭১ শতাংশ। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭১ পয়সা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ২৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩০ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ টাকা ৭৯ পয়সা।

সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্ভিল্যান্স এনটিটি রেটিং -টু ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, আলোচ্য সময় পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে কোম্পানিটির দায়সহ আনুষঙ্গিক হালনাগাদ অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৬৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫১ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ২০ টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৩২ কোটি লাখ টাকা।  মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাকি ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন