ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারো সচল হয়েছে বেনাপোল বন্দর। রোববার সকাল ৯টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ট্রাকচালকরা পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করেন।
এর আগে ১৩-১৫ মে পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ পথে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তবে এ সময় বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে সচল ছিল পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়িতে গিয়েছিলেন সবাই কর্মস্থলে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় ২০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। বেনাপোল বন্দর থেকে ৫০ ট্রাক রফতানি পণ্য প্রবেশ করেছে পেট্রাপোল বন্দরে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মো. নেয়ামুল ইসলাম জানান, তিনদিন বন্ধের পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন, এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশের শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতামুক্ত রয়েছে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি বছর ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। এছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশী প্রায় ১৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে, যা বছরে পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। বর্তমানে সরকারি আর সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশুখাদ্য উল্লেখযোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য। রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরই বেনাপোল বন্দরের অবস্থান।
