সংলাপে সিপিডি

কলকারখানা অধিদপ্তরের ৩৪ শতাংশ পদই শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শ্রমজীবী মানুষের আইনি অধিকার, নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অধীন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্যমতে সংস্থাটির মোট পদের ৩৪ শতাংশই শূন্য।

গতকাল সিপিডি আয়োজিত বাংলাদেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইবিএ এবং জিএসপি প্লাস-এর সম্ভাবনা: শ্রম আইন অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে ডিআইএফইর শূন্য পদসংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সময় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে শ্রম আইন অধিকার বিষয়ে অব্যাহত সংস্কারের তাগিদও জানিয়েছে সংস্থাটি। কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা, বাধ্যতামূলক শ্রম ইস্যু সঠিকভাবে মোকাবেলা, আইএলও বিশেষজ্ঞ কমিটির উদ্বেগের দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং সার্বিক তদারকি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার তাগিদ জানিয়েছে সিপিডি।

সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদা খাতুন। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সংলাপে সরকারি কর্মকর্তারা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন। 

সংলাপের বিবৃতিতে সিপিডি বলেছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে। তবে উত্তরণ মসৃণ ধারাবাহিক রাখতে শ্রম আইন অধিকার বিষয়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ বর্তমান। মসৃণ উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শ্রমমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। অন্যদিকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ রফতানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা পায়, তা সংকুচিত হবে। বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রফতানি বাজার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে বিষয়টি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত হতে পারলে উত্তরণ-পরবর্তীকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক দেয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে এমন তথ্য উল্লেখ করে সিপিডি বলছে, সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সাতাশটি মানবাধিকার শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে ১৫টি আইএলওর শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রায় আট বছর সময় ধরে শোভন কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো উন্নতির সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংলাপে আরেকজন আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করে বলেন যে ক্রেতাদের আরো দায়িত্ববান ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক পর্যায়ের শ্রমিক আইন মানতে, ক্রেতাদের বৈশ্বিক পর্যায়ের দাম নিশ্চিত করতে হবে, যা বাংলাদেশের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন