দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ গুচ্ছের অধীনে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান—এ তিনটি বিষয়বস্তুর ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।
গতকাল সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক মতবিনিময় সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিতব্য কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। কমিটি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেবেন। এ গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে। স্কোর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। এজন্য আলাদা করে কোন ধরনের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, করোনার কারণে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছু হটার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে সরাসরি ও সহজ উপায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য তিনি উপাচার্যদের আহ্বান জানান। কৃষিবিষয়ক সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর স্নাতক শ্রেণীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।