বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টার্জিত টাকায় দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে এই প্রবাসীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশের এবং বিশ্বের অগ্রগতির প্রবাহ ধরে রাখতে আমাদের কর্মীরা কষ্ট মন্ত্রে মুগ্ধ। তাই আমি অত্যন্ত খুশি হবো, যদি বহির্বিশ্ব এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের এ অর্জন বিশ্বব্যাংক স্বীকৃতি দেয়। বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার প্রশংসা কেবল আমাদের মানুষকে নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্ত প্রবাসী কর্মীদের উত্সাহিত করবে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড হয়েছে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি। আমাদের সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ সরাসরি নগদ প্রণোদনা নীতি এক্ষেত্রে প্রশংসার দাবিদার।
করোনাকালে ফিরে আসা শ্রমিকদের কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৮ জন শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে এপ্রিল থেকে জুন সময়কালে কোনো নতুন শ্রমিক বিদেশে যেতে পারেনি। যদিও বিশ্বব্যাপী মোট প্রবাসী বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের তুলনায় এটি বড় সংখ্যা নয়। তারপরেও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২ লাখ ৮৪ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।
আইএমফের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার, আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী আবদুল হাদী আরগান্ধিওয়াল, ভূটানের অর্থমন্ত্রী লায়নপো নামগে শেরিং, ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মালদ্বীপের অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আমির, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. যুবরাজ খাতিওয়াদা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহাকারী এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. সানিয়া নিশতার এবং শ্রীলংকার শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর জিএল পিরিস এই ভার্চুয়াল গোলটেবিল সভায় অংশ নেন।