পূজা উপলক্ষ্যে ১৪৫০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত

বণিক বার্তা অনলাইন

গতবছরের মতো এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রফতানি-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’-এর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ভারতীয় আমদানিকারকরা।

রফতানির অনুমতিপত্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পূজার উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রফতানি করা হবে। গতবার ৫০০ টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। এবার নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০ টন করে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ আজ শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ অক্টোবর দুর্গাপূজার সপ্তমী। 

ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব তথা হাওড়ার পাইকারী মাছ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রধান সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রোবার ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। 

এখন ভারতে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১ হাজার ৩০০ রুপি। পদ্মার ইলিশের দাম তার আশপাশেই থাকবে বলে ধারণা করছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। 

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকায় এবছর এখনও মিয়ানমার আর গুজরাটের ইলিশেই রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। যদিও স্বাদে গন্ধে পদ্মার ইলিশের সঙ্গে এসব ইলিশের কোনো তুলনাই হয় না!

২০১২ সালের জুলাইয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে ইলিশ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যদিও গত বছর থেকে দুর্গপূজার সময় ‘উপহার’ হিসেবে ইলিশ দেয়ার চল শুরু হয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন