ত্রাণে অনিয়ম ঠেকাতে হার্ডলাইনে দুদক, একাধিক মামলার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে অভিযুক্তদের। চাল বিতরণে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুদক কর্মকর্তারা। এছাড়া ত্রাণ বিতরণে তালিকা প্রস্তুত ,সরবরাহসহ সব কার্যক্রম দুদকের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান  ইকবাল মাহমুদ বণিক বার্তাকে বলেন, দুদকের সব বিভাগীয় কার্যালয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়গুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কমিশন জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক যেকোনো কর্মসূচিতে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না।

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেকান্দার মিয়াকে গতকাল সোমবার রাতে গ্রেফতার  করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ। গতকালই সেকান্দার মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি সেকান্দার মিয়া ১০ টাকা কেজি দরের (ওএমএস) চাল বিতরণের জন্য নয়ন শ্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা ঝরনা ও মুক্তা মন্ডল নামের দুই জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।  এছাড়া এক প্রতিবন্ধী নাগরিক কানাইয়ের কাছে দুই হাজার টাকা কার্ড প্রতি দাবি করেছেন তিনি। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

এর আগে গত সোমবার সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ওএমএস ডিলার মো. মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ত্রাণের ৭১০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে দুদক।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এ জাতীয় আইনী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। ত্রাণ বিতরণে তালিকা প্রস্তুত ,সরবরাহসহ সব কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আসুন আমরা এই মহাদুর্যোগের সময় সর্বোচ্চ মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন