প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পাঁচ প্যাকেজের প্রণোদনা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। গতকাল ১৪ দলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
সঠিক সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, দুর্যোগময় এ সময়ে আশাজাগানিয়া প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন প্রয়োজন এটির দ্রুত বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ১৪ দলের নেতারা আশা করেন।
১৪ দলের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কামরুল ইসলাম এমপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও বাসদের রেজাউর রশীদ খান।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলবে। তবে করোনার প্রভাবে অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী ও বাস্তবসম্মত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার সুবিধা কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ পাবে।
