শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

বণিক বার্তা অনলাইন

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। খবর বাসস।

শনিবার সকাল ৭টার আগে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী যান শহীদ বেদীতে। সকাল ৭টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বঙ্গভবন সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।

এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডিতে যান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ দিনে বিজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জাতির বীর সন্তানদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী জাতিকে মেধাশূন্য করতে তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানের নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অমানবিক নির্যাতন শেষে বিভিন্ন বধ্যভূমি বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন