অর্থনীতিবিদ
ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম
বলেছেন, ‘রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আওয়ামী লীগ সরকারের সব থেকে বড়
সাদা হাতি। আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিও দেশের বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি
করেছে। বিগত সরকার দেশকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার জরুরি। নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংসদীয়
আসন বরাদ্দ রাখতে হবে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা গেলে সংস্কারের অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও ভোটের মাধ্যমে হওয়া কাম্য। সংবিধানকে দ্বিকক্ষীয় কাঠামোয় রূপান্তর ও সংসদের উচ্চকক্ষে
সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।’
গতকাল চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান হোসেন জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য স্থাপন, দুর্নীতি দমন, সমাজে সংবিধানের সুষ্ঠু প্রতিফলন নিশ্চিতসহ সংস্কারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সুফল পেতে হলে টেকসই সংস্কারের বিকল্প নেই।
সংসদবিষয়ক গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করার মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার সম্ভব। কারণ নির্বাচনের পর যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের মধ্যে পরিবর্তন করার প্রবণতা থাকে। ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার হলে সব ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া সম্ভব।’