প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ
নজরুল বলেছেন, টিকিট জটিলতায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে সে দেশে
পাঠানোর পাশাপাশি দেশটিতে বন্ধ শ্রমবাজার চালু, কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং
এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে এবং কর্মীদের বেতন
বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার কাজ করছে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে
মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সোশ্যাল সিকিউরিটি অরগানাইজেশনের (পার্কেসো)
সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ
বোর্ডের মধ্যে মেমোরেন্ডাম অব কোলাবোরেশন (এমওসি) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিকে মালয়েশিয়ায়
বাংলাদেশী কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ সুনিশ্চিত করতে ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত
করেন। তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের প্রবাসীরা যখন বিদেশে থাকেন তখন তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রত্যেকেই
বাংলাদেশের একেকটি পতাকা হয়ে কাজ করেন। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার
পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাদের যথাযথ
মূল্যায়ন, প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণমূলক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড
এ কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ
নজরুল এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে চুক্তিতে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ
বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এবং মালয়েশিয়ার পার্কেসোর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ
আজমান আজিজ মোহাম্মদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।