শিক্ষায় শিক্ষকের মতামত গ্রহণ ও নতুন সামাজিক চুক্তি

প্রকাশ: অক্টোবর ০৫, ২০২৪

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ

‘শিক্ষায় শিক্ষকের মতামতে গুরুত্ব ও নতুন সামাজিক চুক্তি’ প্রতিপাদ্যে আজ ৫ অক্টোবর দেশে দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষকের মর্যাদাসংক্রান্ত বিশেষ আন্তঃসরকার সম্মেলনের সুপারিশ ১৯৬৬ ও উচ্চতর শিক্ষা প্রদানকারী ব্যক্তিদের মর্যাদাবিষয়ক ইউনেসকোর সুপারিশমালা ১৯৯৭-এর স্মারক এ দিনটি ইউনেসকোর আয়োজনে এ বছর প্যারিস সদর দপ্তরে একদিন আগে ৪ অক্টোবর উদ্‌যাপনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ইউনেসকো, আইএলও, ইউনিসেফ ও এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের ধারণাপত্রে: বিশ্বজুড়ে উচ্চ আয় এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় একইভাবে শিক্ষকতা পেশার প্রতি বর্তমানে প্রদত্ত স্বল্প ও ক্রমহ্রাসমান গুরুত্বের উল্লেখ করা হয়েছে। এর বিপরীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে: শিক্ষা ব্যাহতকারী কভিড-১৯ মহামারীসহ সাম্প্রতিক সংকটের মধ্যেও এটা নিশ্চিত হয়েছে যে অনুকূল পরিবেশ এবং স্বায়ত্তশাসন পেলে শিক্ষকরা শিক্ষায় যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং এমন সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারেন, যা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর উন্নয়ন নিশ্চিত করে। (সূত্র: OECD,UNESCO, TTF-2021) গবেষণায় দেখা যায়, শিক্ষকরা শিক্ষার বিষয়গুলো আয়ত্ত করে পাঠক্রমের বিষয়বস্তুকে অগ্রাধিকার দিয়ে মূল্যায়ন এবং প্রাসঙ্গিক করেন, সাধ্যমতো শ্রেণীকক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীর দিকে মনোযোগ দেন এবং শ্রেণীকক্ষে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় অর্জন ও অগ্রগতি সাধনে, তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন সত্ত্বেও তাদের সৃজনশীলতা ও সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কথা বা পরামর্শ যথাযথভাবে বিবেচিত হয় না। শিক্ষকতা পেশাকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠস্বর খুব কমই শোনা যায় বা মত প্রকাশ করতে খুব একটা উৎসাহ দেয়া হয় না। যদিও শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য তা যথেষ্ট গুরুত্ববহ। এসব পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষকদের মতামতের প্রতি কার্যকর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ হিসেবে সেসব তাদের পেশাগত উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দিয়েছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘হাই লেভেল প্যানেল অন দ্য টিচিং প্রফেশন’ ও সর্বশেষ ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন টিচার্স’-এর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ক্রমবর্ধমান শিক্ষকস্বল্পতার সংকট ও তাদের অবনতিশীল কর্মপরিবেশের প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। দিবসটির মূল বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবে বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের অভিব্যক্তি প্রকাশের অপরিহার্যতায় শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক চুক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়েছে। সংগত কারণেই ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন টিচার্স’-এর ছয়টি সুপারিশ এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক: ১. সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে সকল দৃষ্টিকোণ ও প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় অগ্রাধিকারে অন্তর্ভুক্ত সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক নীতি প্রবর্তন। ২. শিক্ষা কর্মসূচি ২০৩০-এর অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সূচকগুলোর ভিত্তিতে আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রদানের লক্ষ্যে অধিকতর গ্রহণযোগ্য তথ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ। ৩. শিক্ষক-শিক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন কর্মসূচির নির্দিষ্ট বিষয় ও ব্যক্তিভিত্তিক কর্মসূচির পরিবর্তে জীবনব্যাপী, সহযোগিতামূলক ও শিক্ষক পরিচালিত প্রক্রিয়ায় রূপান্তর। ৪. শিক্ষকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বর্তমানে প্রচলিত বেতন ভাতা ও প্রণোদনা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও ক্ষতিপূরণ এবং বেতান-ভাতার ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা। ৫. বিদ্যমান আদর্শ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপির ৬ শতাংশ এবং মোট সরকারি ব্যয়ের ২০ শতাংশ অর্থায়নে পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে সংগ্রহ নিশ্চিতকরণ। ৬. শিক্ষক ঘাটতি বা স্বল্পতা দূর করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং সকল স্তর ও পর্যায়ে শিক্ষকসংক্রান্ত নীতিগত পরিস্থিতি উপস্থাপন।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বাংলাদেশের শিক্ষক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতনের পরিমাণের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় সপ্তম। বিশ্বব্যাংক ও ইউনেসকোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাই প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের দক্ষতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন পাচ্ছেন বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষকরা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে মালদ্বীপ; দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত; তৃতীয় অবস্থানে ভুটান; চতুর্থ অবস্থানে নেপাল। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে এমপিও-বহির্ভূত বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকরা।

শিক্ষানীতি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিবিধি

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট, বিভিন্ন সরকারের আমলে প্রণীত শিক্ষানীতির কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বশেষ ২০১০ সালের শিক্ষানীতিরও খণ্ডিত বা আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। প্র সঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আগে চাকরিবিধি থাকলেও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরিবিধি ছিল না। ১৯৭৯ সালে তা প্রণীত হলেও যুগোপযোগী সংস্কার হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত অশিক্ষক কর্মচারীদের চাকরিবিধি হলেও তা যথাযথ কার্যকারিতা পায়নি। বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী সমাজের একটা অংশ শিক্ষার মান উন্নয়নে সরব থাকলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, ক্যারিয়ার পাথ বা পেশাগত ধাপগুলো বা সামাজিক মর্যাদার প্রসঙ্গে অনেকেই মুখ খুলতে চান না। অন্যদিকে কর্তাব্যক্তিরা দালানকোঠার উন্নয়নকে অনেকে শিক্ষার উন্নয়ন হিসেবে দেখতে বা দেখাতে পছন্দ করেন। 

শিক্ষা উপদেষ্টার অবস্থান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মূল্যায়ন

শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এখনো শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। (প্রথম আলো, ৪.৯.২৪)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী একটি ইংরেজি দৈনিকে লিখেছেন: শিক্ষক হয়রানির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী।...শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা এবং তাই শিক্ষকরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র দ্বারা সম্মানিত...। শিক্ষকরা যখন নিজেরাই অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়, তখন তারা ক্লাসে এসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে শেখানোর অধিকার হারান। তারা নিজেরাই বিভিন্ন ভুলের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন বলে শ্রেণীকক্ষে এসে ভুলের বিরুদ্ধে আমাদের গাইড করতে পারেন না।... শিক্ষকতার মহৎ পেশা হোক সব রাজনৈতিক রং—সাদা, কালো, নীল, লাল, হলুদ থেকে মুক্ত। শিক্ষাকে নিরপেক্ষতার দিকে ফিরে যেতে দিন। এ পেশা যখন...পক্ষপাতিত্বমুক্ত থাকবে, তখনই আমাদের দেশে শিক্ষকদের হয়রানি অচল হয়ে পড়বে।... (২৯-০৯-২৪, দি ডেইলি সান)।

শিক্ষা নিয়ে ভাবেন এমন একজন অভিভাবক, পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা পত্রিকার কলামে লিখেছেন: ‘স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে শিক্ষকদের যে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি সেটা নয়, বেশকিছু পরিবর্তন হয়েছে, তবে এখনো যেসব বৈষম্য থেকে গেছে সেটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছি। উন্নত বিশ্বকে যদি বাদও ধরা হয়, শুধু দক্ষিণ এশিয়ার গুটিকয়েক দেশের বিবেচনায়ও শিক্ষকদের সম্মানীর তালিকায় আমরা তলানিতে! এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমাদের দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যদি প্রশ্ন করা হয় তোমার জীবনের লক্ষ্য কী? কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বড় অফিসার! কেউ কি শিক্ষক হতে চাই—এ কথাটি বলে? সম্ভবত এ রকম সংখ্যাটি অতি নগণ্য, কারণ সবাই আর্থিক নিরাপত্তা চায়, সবাই সামাজিক মর্যাদা চায়। তবে আমাদের প্রাথমিক কিংবা বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যে বেতন দেয়া হয় তা কি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে! কিংবা সামাজিকভাবে তাদের সেই মর্যাদা কি দেয়া হয়! অবশ্যই না! আমাদের দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যে বেতন দেয়া হয় তাতে ক্লাসের প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হবে সে চিন্তা করা অলীক স্বপ্ন! আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন দরকার, যেখানে ক্লাসের প্রথম সারির শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হিসেবে শিক্ষকতা চয়েজ করতে আর্থিক নিরাপত্তায় না ভোগেন। শিক্ষকতা মহান পেশা, শুধু মুখে মহান বললেই চলবে না, রাষ্ট্রকে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।’(ভোরের কাগজ, ২৯-০৯-২৪)

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট শিক্ষা উন্নয়ন গবেষক ড. মনজুর আহমদ বলেছেন, ‘আধিপত্য ও আনুগত্যের রাজনীতির প্রভাবে ও যোগ্য শিক্ষা নেতৃত্বের অভাবে গত দেড় দশক শিক্ষার গতিপ্রকৃতি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের যথার্থ আলোচনায় আগ্রহ দেখা যায়নি। সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুক্ত বর্তমান সরকার নির্মোহ সংলাপে উৎসাহী হবে বলে আশা করা যায়।’ (প্রথম আলো, ২৬.০৮.২৪)

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের দিনটিতে ভাবনার জন্য পাঁচটি সুপারিশ উপস্থাপন করা সমীচীন মনে করি: ১. ইউনেসকো ঘোষিত ২০১৫ সালের শিক্ষকনীতি ও স্কুল নেতৃত্বসংক্রান্ত সুপারিশ সক্রিয় বিবেচনা। ২. শিক্ষার্থীর জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের পাঠ সম্ভব করে তুলতে অঞ্চল ও এলাকাভিত্তিক শিক্ষক বিনিময় ব্যবস্থা চালু। ৩. জনসংখ্যা ও শিক্ষার্থীর অনুপাত এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে যথোপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ প্রদান এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত স্থানীয় সরকার, অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ ও পৌরসভা/সিটি করপোরেশনগুলোকে শিক্ষায় অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুনর্বিবেচনা। ৪. কোচিং বাণিজ্য নিরসনে প্রতিকারমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন: যে কারণে ও পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হয়, তার অবসানকল্পে শ্রেণীকক্ষে পাঠ গ্রহণে পশ্চাৎপদ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার/সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত প্রতিকারমূলক (রিমিডিয়াল) ও সমযোগ্যতা অর্জনে সহায়ক (লেভেলিং) প্রতিষ্ঠান স্থাপনপূর্বক প্রচলিত কোচিং বাণিজ্যের নিরসন। ৫. ইনচিয়ন ঘোষণার আলোকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মৌলিক শিক্ষার স্তর নির্ধারণ।

লেখাটি শেষ করব শিক্ষা উন্নয়ন গবেষক সমীর রঞ্জন নাথের উদ্ধৃতি দিয়ে: প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী এবং ১২ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত এ শিক্ষা ব্যবস্থাটি পথে আনতে একটু দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু কাজটি এখনই শুরু করতে হবে। সংস্কার কার্যক্রমকে ফলদায়ক ও টেকসই করার জন্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এবং যৌক্তিকভাবে এটিকে এগিয়ে নেয়া এই সময়ের চ্যালেঞ্জ। (প্রথম আলো, ৪.৯.২৪)

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ: সদস্য, এডুকেশন ওয়াচ। আহ্বায়ক, শিশুর প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসনে কোয়ালিশন, বাংলাদেশ। ব্যক্তি-সদস্য, এশিয়া সাউথ প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন, (অ্যাস্বে)

[email protected]


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫