আলোকপাত

পরিসংখ্যানের সঠিকতা ও বিশুদ্ধতা: কিছু কথা

প্রকাশ: অক্টোবর ০৫, ২০২৪

সেলিম জাহান

পরিসংখ্যান সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রায়ই বলা হয়, তথ্য-উপাত্তই হচ্ছে শক্তি। সেই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই অনেকে বলেন, সংখ্যা কখনো মিথ্যা বলে না। কথাটা কিন্তু ঠিক নয়। যে তথ্য-উপাত্ত সঠিক নয়, সংখ্যাকে যেখানে কোনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রভাবিত করে বাড়িয়ে বা কমিয়ে উপস্থাপন করা হয়, তখন সংখ্যা কিন্তু সত্যের প্রতিনিধিত্ব করে না। ব্যাপারটি ব্যক্তি জীবনে কর ফাঁকির ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, আবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা ধরনের সূচকসংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। কেউ কেউ বলতে পারেন তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যানের এ বিশুদ্ধতা নিয়ে এত বাকবিতণ্ডা কেন? এটি কি শুধু একটি নৈতিকতার ব্যাপার, নাকি এর একটি বৃহত্তর কার্যকর প্রেক্ষিত আছে? 

জাতীয় জীবনে উপাত্তের তিনটি সুনির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। প্রথমত, কোনো দেশের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উন্নয়ন কৌশল গড়ে তুলতে হলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত অপরিহার্য। একেবারে শূন্য থেকে বাস্তব অবস্থা বিবেচনার মধ্যে না নিয়ে পরিকল্পনা করা যায় না, নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় না এবং উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ করা যায় না। তথ্য-উপাত্ত হচ্ছে সেই ভিত যার ওপর পরিকল্পনা, নীতিমালা ও কৌশলের গৃহ নির্মিত হয়। সেই ভিত যদি সঠিক না হয়, সে ভিতে যদি ফাঁকফোকর থেকে যায়, তাহলে পরিকল্পনা, নীতিমালা ও কৌশলও ত্রুটিপূর্ণ হবে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না। 

দ্বিতীয়ত, উন্নয়ন অর্জন এবং ফলাফলের মূল্যায়ন্যের জন্যও উপাত্ত ও পরিসংখ্যান প্রয়োজন। ভিত্তিরেখার উপাত্ত যদি সঠিক না নয়, মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত পরিসংখ্যান যদি ভুল হয়, তাহলে উন্নয়ন সাফল্যও সঠিকভাবে নিরূপিত হবে না। যেমন পরিসংখ্যানকেই যদি ঊর্ধ্বমানের দিকে প্রভাবিত করা হয়, তাহলে মূল্যায়নের ফলাফল একটি রঙিন চিত্র তুলে ধরবে ঠিকই, কিন্তু তাতে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হবে না। ঠিক তেমনিভাবে স্ফীত পরিসংখ্যান ব্যবহার করে যদি পরিবীক্ষণ করা হয়, তাহলে সেটাও উন্নয়ন পথযাত্রার ভুল পথনির্দেশ দেবে এবং পুরো উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি বেপথু হতে পারে। 

তৃতীয়ত, গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সক্রিয় কর্মীরা তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করেন জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য, তাদের নিজস্ব প্রচারকাজের জন্য এবং সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য। সমাজে বস্তুনিষ্ঠ উন্নয়ন বিতর্কের জন্য নীতিমালার সঠিক আলোচনার জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান একটি প্রয়োজনীয় পূর্বশর্ত।

কিন্তু এতসব সুনির্দিষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও বহু রাষ্ট্রে, বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি কিংবা উপস্থাপন হয় না। এর কারণ ত্রিবিধ। এক. দেশের সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে গাফিলতি। দুই. সঠিক পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে নীতিনির্ধারকদের অজ্ঞানতা, ঔদাসীন্য ও অনীহা। তিন. উন্নয়নচিত্রকে রঙিন করার প্রয়াসে পরিসংখ্যানকে স্ফীত করার জন্য রাজনৈতিক চাপের কাছে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান সংস্থার নতি স্বীকার কিংবা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে খুশি করার জন্য সে সংস্থার দালালি। অনেক ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাণিজ্যে কিংবা বিদেশী ঋণে সুবিধা লাভের জন্য পরিসংখ্যানকে নিম্নমানেও দেখানো হয়। 

বাংলাদেশে সরকারি পরিসংখ্যানের সততা বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সেই সঙ্গে একই সূচকের ওপর সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তারতম্যের ব্যাপারটিও আলোচনায় উঠে এসেছে। শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা, সংবাদ ও প্রচারমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং উন্নয়ন সহযোগীরা নানা সময়ে এসব ব্যাপারে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। পরিসংখ্যানের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়টি আবারো নতুন করে উত্থাপিত হয়েছে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর শ্বেতপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে। সাম্প্রতিককালে গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার সামনে রেখে যে শ্বেতপত্র তৈরি হচ্ছে, তার প্রেক্ষাপটে সঠিক, সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যানের বিষয়টি আবারো গুরুত্বসহকারে আলোচনায় উঠে এসেছে। 

বেশকিছু কাল ধরে দেশের সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবস্থা এবং কাঠামোর কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, বেশ দীর্ঘদিন ধরে সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার বদলে পরিসংখ্যান প্রক্রিয়ার রাজনীতিকরণ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার চাপের মুখে কিংবা সে প্রক্রিয়াকে খুশি করার জন্য উপাত্তের স্ফীতি ঘটানো হয়েছে। ভিত্তি রেখার উপাত্তকে প্রভাবিত করা হয়েছে যাতে উন্নয়ন ফলাফলও স্ফীত হয়। ব্যাপারটি কর্মসূচি ও প্রকল্প পর্যায়েও ঘটেছে। প্রাক্কলনগুলোকেও ঊর্ধ্বমুখী করা হয়েছে। 

দ্বিতীয়ত, বহু সঠিক তথ্য এবং সত্য উপাত্ত জনসমক্ষে আনা হয়নি। যেসব পরিসংখ্যান সরকারের ব্যর্থতাকে প্রতিফলিত করেছে, তাকে হিমাগারে স্থায়ীভাবে রেখে দেখা হয়েছিল। বহু ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ সঠিক পরিসংখ্যান পেশাজীবীদের বদলে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান সংস্থায় নিয়োগ এবং পদোন্নতি দান করে এমন একটি কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল যেখানে পুরো ব্যবস্থার দৃশ্যমানতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা অনুপস্থিত হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রকাশিত তথ্য, উপাত্ত কিংবা পরিসংখ্যানের যথার্থতা গৌণ হয়ে গিয়েছিল। মনে রাখা দরকার, পরিসংখ্যান ও উপাত্ত ব্যাপারটি শুধু একটি তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক ব্যাপার নয়, এটি একটি উচ্চস্তরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যাপারও। তৃতীয়ত, একই সূচকের ওপর পরিসংখ্যান প্রকাশকারী একাধিক সরকারি সংস্থার কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। যেমন জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পরিকল্পনা কমিশনের প্রকাশিত উপাত্তের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। হতে পারে এসব সংস্থার জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান নির্ধারণের পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, হয়তো তাদের ব্যবহৃত মৌলিক উপাত্তের মধ্যে ফারাক আছে কিংবা হয়তো তাদের ব্যবহৃত ভিত্তিরেখা ভিন্ন। কিন্তু কারণ যা-ই হোক না কেন, তার দৃশ্যমানতা ও জবাবদিহিতার অনুপস্থিতে নানা ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। 

বাংলাদেশের আগামী দিনের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য দেশের পরিসংখ্যান সংস্থার লক্ষ্য, কাঠামো এবং কর্মকাণ্ডের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন:

এক. পরিসংখ্যান সংস্থার মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। এ সংস্থার লক্ষ্য হবে রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্ব উঠে বস্তুনিষ্ঠ বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করা। সুতরাং সৎ ও দক্ষ পেশাজীবীদের নিয়ে এ সংস্থাকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে, যেখানে দৃশ্যমানতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। এসবের জন্য একটি ‘উপাত্ত লভ্যতা ও দৃশ্যমানতা’ আইন থাকা দরকার।

দুই. সেই সঙ্গে এ সংস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাব ও চাপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে সৎ, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যান তৈরি করা যাবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম দপ্তর মার্কিন অর্থনীতিতে বেকারত্বের হারের ওপর পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এ উপাত্তের প্রভাব অর্থনীতির নানা সূচকের ওপর পড়ে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শেয়ারবাজারের সূচকের ওঠা-নামা। এ স্পর্শকাতরতার জন্য বেকারত্বের হার প্রকাশের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানও তা জানতে পারেন না, শ্রমমন্ত্রী তো দূরের কথা। এ জাতীয় স্পর্শকাতর উপাত্তের মানকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার জন্যই এটা করা হয়। প্রকাশ হওয়ার পরই শুধু মার্কিন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সংখ্যাটিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যবহার করতে পারে।

তিন. পরিসংখ্যান সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেটি শুধু সম্পদের জোগানের মাধ্যমে হবে না, তার জন্য প্রশিক্ষণ, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উপাত্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সমন্বয় এবং সংস্থাটির প্রয়োজনীয় বিকেন্দ্রীকরণেরও প্রয়োজন হবে। সমন্বয় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর সঙ্গে। সুষ্ঠুভাবে পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশের নিয়মীকরণও একান্ত জরুরি। বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণকে যতটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায়, ততই মঙ্গল। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো গঠনের দিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার। পরিসংখ্যান বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

চার. পরিসংখ্যানের দুটো দিক আছে—একটি জোগানের, অন্যটি চাহিদার। চাহিদার দিক থেকে দেশের নীতিনির্ধারকদের ‘উপাত্ত সাক্ষরতার’ প্রয়োজন, সেই সঙ্গে প্রয়োজন উপাত্তের গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের সম্যক উপলব্ধি। এছাড়া সময়ে সময়ে পরিসংখ্যান সংস্থার উচিত হবে, জরিপের মাধ্যমে বিভিন্ন উপাত্ত ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা, যাতে তাদের কর্মকাণ্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা যায়। বৈশ্বিক পর্যায়ে অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার মূল্যায়ন করে নিজস্ব কর্মকাণ্ডের উন্নীতকরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পাঁচ. বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে পরিসংখ্যান সংস্থাকে কতগুলো মাত্রিকতার দিকে নজর দিতে হবে। যেমন সব উপাত্ত কাঠামোরই একটি শক্ত তাত্ত্বিক ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। উপাত্ত শুধু সংখ্যা নয়, তার পেছনে তত্ত্বও থাকে। এটা উপাত্তের শুদ্ধতা ও সত্যতার জন্য দরকার দুটি কারণে—এক. সঠিক উপসংহারে পৌঁছনোর জন্য এবং দুই. জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য। জনগণের কাছে যে উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তার উপযোগিতাও নেই। উপাত্তকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং সব উপাত্তকেই সবার কাছে লভ্য করে দিতে হবে। তেমনিভাবে যতটা সম্ভব, বিভাজিত উপাত্ত সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিক উপাত্তে অসাম্য বা বৈষম্য প্রতিফলিত হয় না। একমাত্র বিভাজিত উপাত্তেই এটা ধরা পড়ে। এ প্রসঙ্গে নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা আর বৈষম্যের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। এ ভিন্ন একটি পরিসংখ্যান কাঠামো বা সংস্থা স্থির হতে পারে না, তাকে গতিময় হতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণা, নতুন জ্ঞান ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিতি, অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি।

পরিশেষে একটি বৈষম্যহীন সমাজের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। সে সংস্কারের রূপরেখা বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন একটি সৎ, বস্তুনিষ্ঠ এবং সঠিক পরিসংখ্যান কাঠামো, যেটা সমাজের সব গোষ্ঠীর আস্থাভাজন হবে।

সেলিম জাহান: ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫