মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনীর আকুবপুর নামক স্থানে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে যাতায়াতকারী বেশ কয়েকটি যানবাহনের গতিরোধ করে যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুট করে। এ সময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চালক স্বপন হোসেন (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আহত বাসচালক স্বপন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের আনিছুজ্জামান খানের ছেলে। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বাস যাত্রী হাফিজুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস মেহেরপুরের উদ্দেশে ফিরছিল। একইসঙ্গে কুষ্টিয়া থেকে আসা আরো কয়েকটি ট্রাক,মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ছিল। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খলিশাকুন্ডি ব্রিজের পশ্চিমপাশে গাংনী উপজেলার শেষ সীমানা আকুবপুর এলাকায় পৌঁছানোর আগেই সড়কের ওপরে গাছ ফেলে যানবাহনগুলো আটকে দেয়। শ্যামলী পরিবহনের বাসের দরজা খুলতে রাজি না হওয়ায় ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালককে কোপ দেয়। এতে বাসচালক স্বপন গুরুতর আহত হন।
ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও সোনার গয়না ছিনিয়ে নেয়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এক নারীসহ তিন যাত্রীকে মারধর করে ডাকাতরা। এদিকে শ্যামলী পরিবহনের পাশাপাশি একটি ট্রাক, একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঘণ্টা ব্যাপী ডাকাতি করে সটকে ডাকাতদলের সদস্যরা। এসময় যাত্রী ও চালকরা মিলে রাস্তার উপর থেকে গাছ সরিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
পরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটির চালক স্বপনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানায় তার পরিবার।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।