টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল

শেরপুরে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ: অক্টোবর ০৪, ২০২৪

বণিক বার্তা অনলাইন

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে ও উপচে উপজেলা সদর বাজার, বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৬.৫৫ মিলিমিটার, পাহাড়ি নদী চেল্লাখালির পানি ২১.৯৫ মিলিমিটার ও ভোগাই নদীর দুটি পয়েন্টের পানি ২১.৯৫ মিলিমিটার এবং ১৭.১৪ মিলিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা ভারী বর্ষণের ফলে এসব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩২০ মিলিমিটার, শেরপুরে ১৭৭ মিলিমিটার এবং নালিতাবাড়ীর দুটি পয়েন্টে ২৫৫ ও ২৬০ মিলিমিটার। চলমান পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫