সিরাজগঞ্জ
আদালতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে
কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন মো. হুমায়ুন কবির নামে এক আইনজীবী। এ
ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ
(বর্তমানে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ)
ফজলে-খোদা নাজিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার দুদক
চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগ করেন
তিনি।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি নিজে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও চার বিচারকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।’
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির, নিয়োগ কমিটির সভাপতি তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. সালমা খাতুন, নিয়োগ বাছাই ও পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত কমিটির সদস্য তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও সিরাজগঞ্জ সদরের সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিযোগ করা হয়। নিয়োগ পাওয়া ৩৪ কর্মচারীর মধ্যে ২২ জনই ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার। নিয়োগের দায়িত্বে থাকা বিচারকরা পছন্দের ব্যক্তিদের নিজেদের খাস কামরায় বসিয়ে গোপনে পরীক্ষা নেন। অভিযুক্তরা একে অন্যের সঙ্গে যোগসাজশ করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, ‘ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলে সেখান থেকে একটি কপি আমাদের দেয়া হয়। তবে এখনো আমাদের কাছে অভিযোগের কপি আসেনি। অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত শুরু করা হবে।’