গুজব রটিয়ে হামলার অভিযোগ

কারখানা চালু রাখতে বাড়তি নিরাপত্তা চান মালিকরা

প্রকাশ: অক্টোবর ০১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারখানা চালু রাখতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে কিছু মহল গুজব ছড়াচ্ছে। মিথ্য অভিযোগ, গুজব আর তুচ্ছ কারণে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে কিছু লোক। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। 

দাবি মেনে নেয়ার পরও চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে পোশাক কারখানা চালু রাখতে নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মালিকরা। শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে বিদেশী ইন্ধন রয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা দাবি করেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্ষতি হলে ক্রেতারা চলে যাবে। তাতে একটি দেশের লাভ। তারা নিজেদের তৈরি পোশাক খাতকে তিন-চার গুণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে। 

পোশাক কারখানার মালিকরা বলেন, কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা মালিকরা কোনো না কোনোভাবে অন্য কিছু করে চলতে পারব। আমাদের পথে বসতে হবে না। কিন্তু যে ৪০ লাখ শ্রমিক আছে আমাদের, তাদের কর্মসংস্থানের কী ব্যবস্থা হবে? এখন একটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে সেই বেকার শ্রমিকরা অন্য কোথাও কাজ পান না। তাহলে এ খাত শেষ হয়ে গেলে দেশের কী হবে? 

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি, তা না হলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আমাদের কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি আদায়ের পরও পোশাক খাতে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে কিছু মহল গুজব ছড়াচ্ছে।’

ভাংচুরের কারণে অনেক কারখানা চালু করতে না পারায় পোশাক শিল্প মালিকরা সরকারকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার আহ্বান জানান। তারা জানান, চলমান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে প্রতিদিনই আশুলিয়া, জিরানী ও জিরাবোর মতো শিল্পাঞ্চলের কোনো না কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি নিয়োজিত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫