গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি ছেড়েছে ভারত

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি

কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি এমনিতেই বাড়ছে। এর মধ্যে গতকাল দুই দফায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে প্রায় ১১ হাজার কিউসেক পানি ছেড়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, এ বিপুল পরিমাণ পানি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আগে থেকে তাদের কিছু জানা ছিল না। খবর বিবিসি। 

কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘ভারত যে বাড়তি পানি ছেড়েছে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছে অফিশিয়াল কোনো খবর নেই।’

ভারতে তিস্তা নদীর ওপর একাধিক বাঁধ আছে। তার মাঝে একটি হলো জলপাইগুড়ির গজলডোবা বাঁধ। গজলডোবা বাঁধ নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ৮টায় প্রায় ছয় হাজার এবং রাত সাড়ে ১২টায় ৪ হাজার ৭০০ কিউসেকেরও বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। 

পানি ছাড়ার কারণ হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সেচ দপ্তর বলছে, বাংলাদেশের মতো ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলায়ও তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তিস্তার ভারতের অংশের কয়েকটি জায়গায় পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ওই পানি বের করার জন্য এক পর্যায়ে বাঁধ খুলতে হয়েছে।

সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তাই তিস্তা অববাহিকায় “সাধারণ বন্যা” দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু সেটা মারাত্মক কিছু হবে না। তিস্তা নদীর অববাহিকা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট—এ পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি আছে।’

রংপুর প্রতিনিধি জানান, উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত তিস্তায় পানি বেড়েছে ১৫ সেন্টিমিটার। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের ঢল সামলাতে লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫