ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রাণহানির প্রাথমিক
তালিকা প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পক্ষ থেকে গঠিত এ কমিটির তালিকা অনুযায়ী সারাদেশে ১ হাজার ৫৮১
জন নিহত হয়েছেন। এই আন্দোলনে আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)
বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিহতদের বেশিরভাগই
তরুণ এবং দরিদ্র পরিবারের। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে কমিটির সদস্যরা বলেন,
এ সংখ্যা চূড়ান্ত নয়।
কমিটির সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম বলেন, আমাদের
প্রাথমিক তালিকার তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে
গঠিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
কাছে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তালিকা প্রণয়নের কাজে
সহায়তা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ
বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা
করেছেন, যা এই তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফরহাদ আলম ভূঁইয়া
জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি আহতের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তথ্য ভেরিফাই করার
প্রক্রিয়া এখনো চলমান, চূড়ান্ত নয়। সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। চূড়ান্ত তালিকা পরে জানানো
হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য
উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদা বুশরা ইতি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির
উদ্দিন পাটোয়ারীসহ আরো অনেকে।