২০২৫-২৭

সেমিকন্ডাক্টর যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ ছাড়াবে ৪০ হাজার কোটি ডলার

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারকরা ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে চিপ তৈরির যন্ত্রপাতিতে ৪০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এ বিনিয়োগে নেতৃত্ব দেবে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও মেমোরি স্টোরেজের জন্য চিপের বাড়তি চাহিদা এ প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ। এছাড়া ইউএস-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা চলমান থাকার কারণে প্রস্তুতকারকরা নতুন অঞ্চলে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যাতে কোনো একক দেশের ওপর নির্ভরতা থেকে বেড়িয়ে আসা যায়। সম্প্রতি শিল্প সমিতি সেমিকন্ডাক্টর ইকুইপমেন্ট ও মেটেরিয়ালস ইন্টারন্যাশনালের (সেমি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে চিপ তৈরির যন্ত্রপাতিতে খরচ ২৪ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর চাহিদা বাড়ার ফলে নেদারল্যান্ডসের এএসএমএল ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি, যেমন অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস, কেএলএ করপোরেশন, ল্যাম রিসার্চ এবং জাপানের টোকিও ইলেকট্রন সুবিধা পাবে বলে ধারণা করছেন তারা। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হতে যাচ্ছে চীন। তিন বছরে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচের পরিকল্পনা করছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। এ বিনিয়োগ তাদের অভ্যন্তরীণভাবে চিপ উৎপাদনে সহায়তা করবে, ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের কারণে বিদেশী সরবরাহকারীর ওপর নির্ভরতা কমে আসবে। চলতি বছরের এপ্রিলের উন্মোচিত হুয়াওয়ের আলোচিত স্মার্টফোন পিউরা ৭০ প্রোর ‘কিরিন ৯০১০’ চিপ ডিজাইন করেছে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হাইসিলিকন। চিপটি ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে উৎপাদন করেছে আরেক চীনা কোম্পানি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (এসএমআইসি)। এদিকে স্যামসাং ও এসকে হাইনেক্সের মতো বড় মেমোরি চিপ প্রস্তুতকারক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এ সময়ের মধ্যে ৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে। 

চিপ তৈরির যন্ত্রপাতিতে ২০২৫-২৭ সালে তাইওয়ান প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এ বিনিয়োগের লক্ষ্য হলো চিপ তৈরির সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিশ্বজুড়ে চাহিদা মেটানো। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি টিএসএমসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের আয় বেড়েছে ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। এ সময় টিএসএমসি আয় করেছে ২ হাজার ৮৮ কোটি ডলার বা ৬৭ হাজার ৩৭১ বিলিয়ন নিউ তাইওয়ান ডলার, আগের বছর যা ছিল ৪৮ হাজার ৮৪ কোটি নিউ তাইওয়ান ডলার।

সেমির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগগুলোর মধ্যে আমেরিকায় ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, জাপানে ৩ হাজার ২০০ বিলিয়ন ও ইউরোপে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেমি অনুমান করছে, এ অঞ্চলগুলো ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের যন্ত্রপাতির ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করবে।

স্মার্টফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার, গাড়ি ওয়াশিং মেশিনসহ সব যন্ত্রই চিপের ওপর নির্ভর করে। কয়েক বছর ধরে চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর খাতে বেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। এখন বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানি চিপ উৎপাদনে বেশি বিনিয়োগ করছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫