পোষাক শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত, কাজে ফেরার আহ্বান

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৈরি পোষাক খাতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন শ্রমিক ও মালিকরা। আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ। দাবির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোয় শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

ব্রিফিংয়ে শ্রম সচিব বলেন, পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এ অসন্তোষ নিরসনে ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিক- মালিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বিগত সরকারের আমলে শ্রমিকদের দাবিকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে সব ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো—

মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। 

কোনো শ্রমিকের চাকরি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে অথবা চাকরিচ্যুত হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ দিতে হবে। এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্য ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। সব ধরনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে।

সব কারখানায় প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

বেতনের বিপরীতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ন্যূনতম ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।

শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না, বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

সব ধরনের হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করতে হবে। 

কলকারখানায় বৈষম্যবিহীন নিয়োগ দিতে হবে।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণের জন্য তদন্তে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে।

অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করতে হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫