লাভেলো আইসক্রিম

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ তদন্ত করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সংস্থাটিতে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল -সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ারদর লেনদেন বেড়েছে, যা অস্বাভাবিক সন্দেহজনক। পরিস্থিতিতে ডিএসইকে লাভেলো আইসক্রিমের লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হলো। সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর লেনদেনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণগুলো (বাজারের কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ) চিহ্নিত করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলো।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তকালে কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০-এর আচরণবিধি এবং বিধি ১১ লঙ্ঘন করলে তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট এআর/কমপ্লায়েন্স অফিসার/সিইওকে অবহিত করতে হবে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২৮ আগস্ট লাভেলোর শেয়ারদর ছিল ৭৪ টাকা ৫০ পয়সা। সেপ্টেম্বর তা দাঁড়ায় ৮৯ টাকা ৬০ পয়সায়। সর্বশেষ গতকাল লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকায়।

চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ১২ শতাংশ। সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ২৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ১৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২১ পয়সায়, গত বছরের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৯৪ পয়সা।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ইপিএস হয়েছে টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৯৪ পয়সায়।

২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৯০ পয়সায়। ২০২০-২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৩১ পয়সা।

সেই হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৫৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৭৫ পয়সা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫