২০৩০-৩১ সাল

ভারতে পাম অয়েল উৎপাদন বেড়ে তিন গুণে পৌঁছবে

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের পাম অয়েল উৎপাদন আগামী ছয় বছরে তিন গুণ বাড়তে পারে। পণ্যটির আবাদযোগ্য অঞ্চল বৃদ্ধি ফলন পরিপক্ব হওয়ার সময়সীমা প্রায় কাছাকাছি আসায় উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ভারতের সবচেয়ে বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী কোম্পানি গোদরেজ এগ্রোভেট লিমিটেডের পাম অয়েল প্লানটেশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাউগাতা নিয়োগী কথা জানান। খবর রয়টার্স।

ভারতের বর্তমানে পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ চার লাখ টন। সাউগাতা নিয়োগী জানান, কৃষকরা পাম অয়েলের আবাদযোগ্য অঞ্চল বাড়াচ্ছেন। তাই ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ১২ লাখ টন থেকে ১৫ লাখ টনে পৌঁছার সম্ভাবনা।

তিনি বলেন, ‘পাম অয়েলের গাছ লাগানোর তিন-চার বছরের মধ্যে ফল দিতে শুরু করে। আর ছয় বছর পর ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে।

দেশটিতে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে নয়াদিল্লি ২০২১ সাল থেকে কৃষকদের প্রণোদনা দিতে শুরু করে। এতে গত বছর পর্যন্ত পাম অয়েলের আবাদযোগ্য অঞ্চল লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর ( লাখ ২৬ হাজার ৬০০ একর) বেড়েছে। চলতি বছর এটি আরো ৮০ হাজার থেকে লাখ হেক্টর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাউগাতা নিয়োগী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে ভারতে পাম অয়েলের আবাদযোগ্য অঞ্চল বাড়ছে। নতুন ফলন ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে সংগ্রহের উপযুক্ত হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ ভারত। প্রতি বছর দেশটি প্রায় কোটি ৬০ লাখ টন ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৯০ লাখ থেকে এক কোটি টন পাম অয়েল প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করে থাকে। উৎপাদন বাড়লে ভারত তার ভোজ্যতেল আমদানি কমাতে সক্ষম হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫