এবার প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে আর নির্বাচন করবেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

বণিক বার্তা অনলাইন

নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলে ২০২৮ সালের নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প এ নিয়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়েছেন এবং গত আট বছরে দলকে অনেকটাই পাল্টে ফেলেছেন। খবর বিবিসি।

সিনক্লেয়ার মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, তিনি হেরে গেলে ২০২৮ সালে আবারো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, না, আমি তা মনে করি না। আমি একেবারেই সেরকমটা দেখতে পাচ্ছি না।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো প্রেসিডেন্টই দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাই ট্রাম্প জিতলেও ২০২৮ সালে আবার প্রার্থী হওয়ার আশা নেই। ট্রাম্পের জন্য পরাজয়ের সম্ভাবনা স্বীকার করতে নেয়া অনেকটাই বিরল ঘটনা। বরং, জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বক্তৃতা ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন তিনি।

কিন্তু এই নিয়ে গত চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার তিনি পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি- আমেরিকান কাউন্সিলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি পরাজয়ের কথা উল্লেখ করেন এবং ইঙ্গিত দেন যে, যদি এমন কিছু ঘটে তবে তার জন্য আংশিকভাবে ইহুদি ভোটারদের দায়ী করা যেতে পারে।

বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে ট্রাম্প বলেন, আমি এই নির্বাচনে না জিতলে ইহুদি জনগণকে অনেক কিছুই করতে হবে। কারণ, আমার ৪০ শতাংশ সমর্থন মানে ৬০ শতাংশ মানুষ শত্রুকে ভোট দিচ্ছে।

কমলা হ্যারিসের প্রচারণা দল, অরাজনৈতিক আমেরিকান ইহুদি কমিটি এবং অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে।

ট্রাম্পের পরাজয়ের সম্ভাব্য স্বীকারোক্তি হয়তো এটাই প্রতিফলিত করে যে, জো বাইডেনের নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পর কমলা হ্যারিস দলের প্রার্থী হওয়ায় ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাবনা কতটা পরিবর্তিত হয়েছে। হ্যারিসের প্রচারণা দলা আগস্ট মাসে নির্বাচনী তহবিলে ১৯০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রচারাভিযান এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সংগ্রহ ১৩০ মিলিয়ন ডলার।

বিবিসির করা এক জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন হ্যারিস। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সিবিএসের প্রকাশিত এক জরিপ দেখায় যে, কমলা হ্যারিসের সমর্থন ৫২ শতাংশ এবং ট্রাম্পের ৪৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতেও ৫১ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন হ্যারিস। গতকাল এনবিসির প্রকাশিত অন্য একটি জরিপ দেখায় যে, ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হ্যারিস।

তবে অন্যান্য জরিপের মতো এনবিসির জরিপেও দেখা গেছে যে, অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসনের মতো নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বিষয়গুলোতে ভোটারদের কাছে স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫