মুন্সিগঞ্জের
মাওয়া স্টেশনসহ পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নতুন পাঁচটি স্টেশনের কেবল চুরি হয়ে গেছে। এ কারণে বিকল
হয়ে পড়েছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল সিস্টেম। তবে তা মেরামত না
করায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। লাইন স্থির করে রাখায় ট্রেন কোনো প্লাটফর্মে থামতে পারছে না। মাঝখানের লাইনেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রীরা।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ ও রেল সংযোগ প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেমের আওতায় থাকা পাঁচটি স্টেশনের কেবল চুরি হয়েছে। এ কারণে বিকল হয়ে পড়েছে যাত্রীবাহী ট্রেনের সিগন্যাল ব্যবস্থা। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় কম্পিউটারের মাধ্যমে রেড সিগন্যাল দেয়া হচ্ছে। এতে স্টেশনগুলোয় যথাযথ স্থানে ট্রেন থামতে পারছে না। দ্রুতগতির রেললাইনের আধুনিক স্টেশনগুলো দিয়ে স্বাভাবিক গতিতেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
রেলসংযোগ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২২ আগস্ট মাওয়া স্টেশনটির কেবল চুরি হলেও এক মাসেও পুনঃস্থাপন করা হয়নি। এর আগে শ্রীনগর স্টেশন ও নিমতলা স্টেশনের কেবল চুরি হয়। সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর মাদারীপুরের শিবচর স্টেশনের কেবল চুরি হয়েছে। এর আগে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা স্টেশনের কেবলও চুরি হয়। এতে স্টেশনগুলোর স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। প্লাটফর্মে ওঠানামার ক্ষেত্রে অস্থায়ী সিঁড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।
মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ম্যানুয়ালি লাইন স্থির করা হয়েছে। মাসখানেক ধরে এ সংকট শুরু হলেও এখনো চলমান। এমন পরিস্থিতিতে মেরামতের কাজ শুরুর পাশাপাশি স্টেশনগুলোয় ছয়জন করে প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
এ ব্যাপারে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার হাসানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সিগন্যালিংয়ের কেবল চুরি হওয়ার কারণে সিগন্যালে সমস্যা হচ্ছে। ট্রেনগুলো নির্ধারিত গতিতে চলতে পারছে না। ক্রসিংয়ে বেশি সময় লাগছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। তবে দ্রুত সমাধান না হলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।’
পদ্মা সেতু অতিক্রম করে এখন চার জোড়া ট্রেন চলাচল করছে প্রতিদিন। এর মধ্যে দুই জোড়া ট্রেন মাওয়ায় থামছে। এছাড়া নিয়মিত প্রতি ঘণ্টায় চলাচল করছে লোকাল কমিউটার ট্রেন।