ফেনীতে পরিবেশ উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে নীরবতার দিন শেষ

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I ফেনী

ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘নদীর পানি শুধু রাজনীতির বিষয় নয়, এটি কূটনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গেও জড়িত।’ গতকাল সকালে ফেনীর পরশুরামের নিজকালিকাপুর এলাকায় মুহুরী নদীর ভাঙন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে অতীতের সরকারের যদি নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তা থেকে থাকে, সে দিন শেষ হয়ে গেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভারত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে হবে। নদীর পানি কেবল রাজনীতি না, এটি কূটনীতি, অর্থনীতিও। সরকারের চশমা নয়, জনগণের চশমা দিয়ে দেখতে এখানে এসেছি।’

উজানের দেশ ভারতের সঙ্গে শুধু একটি নদীকেন্দ্রিক সমস্যা এমন নয়, প্রায় সব নদী নিয়েই সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ৫৪ বা ৫৭টি অভিন্ন নদী রয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি, তিস্তা নিয়েও পারিনি। বন্যায় অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে আপনাদের কাছে (ফেনীর মানুষ) এটি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু তিস্তাপারের মানুষের এমন বন্যায় প্রতি বছর দুঃখ করতে হয়। সম্প্রতি বন্যায় আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারতাম, ফেনীর ২৯ জন মানুষের প্রাণহানি কমাতে পারতাম। সেসব বিষয় উজানের দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলতে হবে।’

এ পরিবেশ আইনবিদ বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির খসড়া হওয়ার পরও তারা (ভারত) স্বাক্ষর করেনি। তিস্তা নদী নিয়ে কী হচ্ছে, সেই বিষয়ে এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানত না। দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে সরকারিভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনে তুলে ধরা সহজ হবে। আগামীতে জাতিসংঘে নদীর বিষয়গুলো পৌঁছে দেয়া হবে। দুই দেশেরই আর কিছু না হোক, মানবিক কারণে পানি ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক জায়গায় বসতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের দেশে রূপরেখা নির্ধারণ ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনা চলছে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫