বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উৎপাদনে ফিরেছে। টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার কোম্পানিটির উৎপাদন শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব সচল করার আদেশ দেয়ার পর উৎপাদনে ফেরার কথা জানাল এসকে ট্রিমস।
গত ২৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এরপর রফতানি, রাজস্ব, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় কোম্পানিটির অনুরোধে ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাবটি চালু করে দেয়। কিন্তু ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সেশন জজের আদালত ও বিএফআইইউ কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এর কারণ হিসেবে কোম্পানিটিতে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচিত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের মালিকানার কথা বলা হয়। কিন্তু কোম্পানিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের কেউ পর্ষদে নেই এবং তাদের সরাসরি মালিকানাও নেই।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৭ পয়সা। সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৩১ পয়সা।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫৭ পয়সায়।
২০২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এর আগে ২০২১ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ, ২০২০ হিসাব বছরে ১৫, ২০১৯ হিসাব বছরে ১০ ও ২০১৮ হিসাব বছরে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশাধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫০ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৪৭ লাখ। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল এসকে ট্রিমস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটি সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৩ টাকা ৫০ থেকে ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা।