বন উজাড় নিয়ন্ত্রণ আইন

ইইউতে কফি রফতানি বন্ধের ঝুঁকি

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

বন উজাড়ের মাধ্যমে সৃষ্ট জমি থেকে উৎপাদিত পণ্য আমদানি রোধে নতুন আইন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আইনটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এটি কার্যকর হলে ইইউর বাজারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে কফি উৎপাদনকারী দেশগুলোর রফতানি। খবর ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পানীয় বিপণনকারী কোম্পানি জেডিই পিটস জানিয়েছে, ইইউ যদি নতুন বন উজাড় আইন অন্তত এক বছরের জন্য স্থগিত না করে, তাহলে কিছু দেশ সাময়িকভাবে রফতানি বন্ধ করতে বাধ্য হবে। কেননা এসব দেশ নতুন আইনের শর্তগুলো কত দ্রুত মেনে চলতে পারবে, তা এখনো অনিশ্চিত। কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার বিথ বলেন, ‘ ব্যাপারে ইইউর স্পষ্ট বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আইনটিকে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করে উৎপাদকরা এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। তাদের ব্যাখ্যা যদি ভুল হয়, তাহলে আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে যথাযথ প্রস্ততি নেয়া তাদের জন্য কঠিন হবে। অবস্থায় কফি রফতানি হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।

ইইউর বন উজাড় নিয়ন্ত্রণ আইনের (ইইউডিআর) আওতায় কফি কোকো, পাম অয়েল রাবারসহ বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি) বিষয়ে কোনো নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। ফলে জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের সরকার, শিল্প সংগঠন, এমনকি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধানও এর সমালোচনা করেছেন।

প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানীকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিশেষ ধরনের ট্রাফিক লাইট সিস্টেম উন্মোচন পিছিয়ে দিতে যাচ্ছে ইইউ। সম্প্রতি ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনটি মেনে চলার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে একটি অনলাইন সিস্টেম উন্মোচন করা হবে।

এদিকে আইনটি রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কফি রফতানিকারক ব্রাজিল একেএকতরফা শাস্তিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের আইনপ্রণেতারা বৃহস্পতিবার বিষয়ে বিতর্কে অংশ নেন। সময় পার্লামেন্টের সদস্য হারবার্ট ডর্ফম্যান জার্মানির পিটার লিজে বলেন, ‘ আইন প্রাণিখাদ্য সরবরাহ এবং বিভিন্ন ধরনের ভোক্তা পণ্যের বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। আইনের দুর্বলতাগুলো সমাধানে কমিশনের যথেষ্ট সময় নেয়া উচিত।

গত সপ্তাহের শুরুতে কমিশনের কাছে আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে ছয় মাসের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানায় ইউরোপিয়ান কোকো অ্যাসোসিয়েশন।

প্রতিনিধিত্বকারী একটি কোম্পানি বলছে, আইনের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে স্পষ্টতার অভাব আছে। ফলে নতুন নিয়ম মানার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনটি যাতে ফলপ্রসূভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য সময় চাওয়া হয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫