চীনে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। গত শুক্রবার চীনা শুল্ক বিভাগের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে। ফলে চীনা ব্যবসায়ীরা তেলবীজটির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম সয়াবিন আমদানিকারক। দেশটি সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আমদানি করে ব্রাজিল থেকে। এর পরই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। গত এপ্রিলের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে সয়াবিন আমদানি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যদিও পরিমাণের দিক থেকে তা ব্রাজিলের তুলনায় অনেক কম।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, গত মাসে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২ হাজার ৩৪৩ টন সয়াবিন আমদানি করেছে, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ১০৫ টন। অন্যদিকে ব্রাজিল থেকে আমদানি ১২ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টনে পৌঁছেছে।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে সয়াবিন বাণিজ্যেও। এমন আশঙ্কাও আমদানি বাড়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। দেশটি গত মাসে রেকর্ড ১ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছে।
সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণ করে পশুখাদ্য ও রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চীনের দুর্বল অর্থনীতির কারণে দেশটিতে মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভোক্তা চাহিদা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানি বাড়ায় সেখানে সয়াবিনের মজুদ বেড়েছে।
জানুয়ারি-আগস্টে ব্রাজিল থেকে চীনে ৫ কোটি ৩৮ লাখ টন সয়াবিন এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১৭ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ১ কোটি ২৮ লাখ টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কম।