ঠাকুরগাঁও জেলার বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ম না মেনে পরিচালিত হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুযায়ী, জেলায় ১৬৬টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি হাসপাতাল এবং ১২৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে নিয়ম না মানায় এরই মধ্যে ২২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নবায়ন নেই এবং সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না।
পৌর শহরের অনেক
প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ও নার্স ২৪ ঘণ্টা থাকার নিয়ম
থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অনুমোদিত বেডের চেয়ে বেশি বেড রাখার পাশাপাশি অপারেশন
থিয়েটারে অপ্রশিক্ষিত কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে রোগীদের ঝুঁকিপূর্ণ
পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা
অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম নামে
একজন তার বোনের সিজার অপারেশনের পর পেটে গজ রেখে দেওয়ার অভিযোগ করেন। পরে
দিনাজপুরে গিয়ে পুনরায় অপারেশন করতে হয়। আরেক ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম জানান, হাসান
জেনারেল হাসপাতালে তার স্ত্রীর সিজারের জন্য ১৩ হাজার ২০০ টাকা চুক্তি হলেও
অপারেশনের পরে ১৮ হাজার ২০০ টাকা দাবি করা হয় এবং খারাপ আচরণ করা হয়।
স্থানীয়
সমাজকর্মী জহির ইসলাম বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে প্রতি বছর অনেক মায়ের মৃত্যু হয়
এবং অনেক রোগী জটিলভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে এসব অভিযোগের যথাযথ বিচার হয় না।
ঠাকুরগাঁওয়ের
সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে চলছে না,
সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক
ইশরাত ফারজানা জানান, নবায়ন ছাড়া পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত বন্ধের উদ্যোগ
নেয়া হবে।