বামহাতের তর্জনিতে অস্ত্রোপচার
করিয়েছেন সাকিব আল হাসান—তবে সেটা কবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সবাই। তিনি চোটগ্রস্ত
ফোলা আঙুল নিয়েই খেলেছেন। অস্বস্তি নিয়ে খেলেছেন বলে দুই ইনিংসে কোনো উইকেটও পাননি।
ব্যাট হাতে যথাক্রমে ৩২ ও ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাতে সমালোচনা চাপা রাখা যাচ্ছে
না। সঙ্গতকারণেই সাকিবকে একাদশ থেকে বাদ দেয়ার প্রশ্ন উঠেছে। আজ এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের
প্রেস বক্সে চেন্নাই টেস্ট হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন
বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক। উত্তরে শান্ত পরিষ্কার করে কিছু
বলেননি।
প্রশ্নটা শুনে নাজমুল
হেসে বলেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্! আসলে অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু
সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা
যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি
খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ
কি না। অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে
শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি।’
সাকিবের চোখ ও আঙুলের
চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শান্তকে। এবারও তিনি কৌশলে এড়িয়ে গেলেন। তার কথায়, ‘আঙুলের
যে ব্যাপারটা, টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো।
দেখুন, আমি কখনো নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।
কারণ খেলাটা দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে
আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে
আমি চিন্তিত নই।’
এদিকে, চেন্নাই টেস্টে
হারলেও ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে পেয়েছেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ
প্রথম ২-৩ ঘণ্টা যেভাবে বোলিং করেছে তা আমাদের জন্য ইতিবাচক। যদিও এরপরেই ভারত খু্ব
ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের সিমাররা নতুন বলে দারুণ করেছে, যদিও এটা ধরে রাখতে হবে। আজ
আমরা চেষ্টা করেছি যতটা বেশি সময় ব্যাটিং করা যায় এবং আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা
করেছি। এখন আমাদের চোখ কানপুর টেস্টে। কানপুর খুব গুরুত্বপূর্ণ। বোলাররা ভালো করেছে,
এখন ব্যাটারদের এগিয়ে আসতে হবে।’