চেন্নাই টেস্টে শুক্রবার
১৭ উইকেট পতনের ভুতুরে দিন ভারতের লিড তিনশ ছাড়িয়ে যায়। দিনশেষে স্বাগতিকদের স্কোর
ছিল ৮১/৩। আজ শনিবার ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন শুভমন গিল ও ঋষভ পন্ত। দুজনই করলেন
সেঞ্চুরি। তাদের ১৬৭ রানের জুটিতে ভর করে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা
করে ভারত। বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিকরা। এই রান তাড়া করে
জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে
৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে আজ তৃতীয় দিন মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে এখনো ৩৫৭
রান প্রয়োজন অতিথি দলের।
দারুণ সূচনা করেও নিজেদের
কিংবা দলের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। ৬২ রান তুলে বিচ্ছিন্ন
হন দুজন। জাকির ৪৭ বলে ৩৩ রান করে জশপ্রীত বুমরাহর শিকার হন। ৩৫ রান করা সাদমানের উইকেট
নিয়েছেন রবিচন্দ্র অশ্বিন। ২৪ বলে ১৩ রান করে অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত মুমিনুল
হক বোল্ড হয়েছেন। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন মুশফিকুর রহিম। আজ
১৩ রান করে অশ্বিনের বলে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১৪৬ রানে চতুর্থ
উইকেট পতনের পর সাকিবকে নিয়ে নতুনভাবে লড়াই শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও অধিনায়ক
খেলছেন মারমুখী। তিনি ৬০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
মূলত তার ব্যাটে ভর করেই দেড়শ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিব ১৪ বলে ৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অশ্বিন তিনটি ও বুমরাহ একটি উইকেট নেন।
এর আগে ডানহাতি ব্যাটার
গিল ১৭৬ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এটা তার পঞ্চম
টেস্ট সেঞ্চুরি। বামহাতি ব্যাটার পন্ত ১২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ রান করেন।
পন্ত করেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। গতকাল ১৪ রানের জুটি গড়া এ দুজন আজ প্রথম সেশনে ২৮ ওভার ব্যাটিং
করে আরো ১২৪ রান তোলেন বোর্ডে। পরে আরো ২৯ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন। পন্তকে শিকারে
পরিণত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর গিল ও লোকেশ রাহুল (২২*) আরো ৫৩ রান তোলার পর
ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশকে
১৪৯ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। তারা ২২৭ রানের লিড পেয়েও বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে
আবারো ব্যাটিংয়ে নামে। এর আগে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান সংগ্রহ করে। সেঞ্চুরি করেন
রবিচন্দ্র অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজাকে (৮৬) নিয়ে সপ্তম উইকেটে ১৯৯ রান যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ।