সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি

অর্থ পাচারের গন্তব্য দেশগুলোর দায়ও কম নয়

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করে, পাচারকৃত অর্থের গন্তব্য দেশ বা অঞ্চলগুলোর দায়িত্বও কম নয়। কারণ বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ওইসব দেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। তাই আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি এবং দায়িত্বের অংশ হিসেবে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরাতে পদক্ষেপ নিতে ওইসব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার দায়িত্ব মূলত বাংলাদেশের কাঁধে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সিংহভাগ অর্থের প্রধান গন্তব্য এবং সুবিধাভোগী হলো ধনী ও তথাকথিত উন্নত দেশগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে বিতাড়িত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকের এসব দেশে সম্পদ অর্জনের খবর উঠে এসেছে।’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দুবাই ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোর সরকারকে পাঁচটি উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশী নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অবৈধ সম্পদ তাদের নিজস্ব আইনি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে চিহ্নিত এবং ফ্রিজ করা; অবৈধ স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থসম্পদ আহরণকারী সিন্ডিকেট বিলুপ্তির জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ; চুরি যাওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ শুরু ও তা ত্বরান্বিত করা এবং পারস্পরিক আইনি ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মতো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে অর্থ পাচারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা; বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সংস্থা, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রয়োজনীয় পেশাদারত্ব এবং আন্তর্জাতিক সক্ষমতা তৈরিতে অবদান রাখা এবং এ ধরনের অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের উপরোক্ত গন্তব্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয় করা।

গন্তব্য দেশগুলোর নীতিমালা নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক পরিশেষে বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারের নীতিমালায় ঘাটতির সুযোগ নিয়ে অর্থ পাচার করা হয়। এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা পাচারকৃত অর্থ ট্রাস্ট, রিয়েল এস্টেট, বিনিয়োগ এমনকি বিনিয়োগের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পর্যন্ত দেয়। যদি নীতি ঘাটতি নাও থাকে, তবে আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে অর্থ পাচারে সহায়তাকারীদের জন্য স্বর্গ তৈরিতে সাহায্য করে এবং এ সুযোগ সৃষ্টির ফলে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫