ওয়ারেন বাফেটের জনহিতৈষী ধারা অনুসরণ করছেন সন্তানরা

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্যবসাবিষয়ক মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যানুসারে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ৯৪ বছরের ওয়ারেন বাফেট বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ষষ্ঠ ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ২১০ কোটি ডলার। ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় তিনি বিশ্বের শীর্ষ জনহিতৈষী ব্যক্তিত্বদের একজন। তাকে নিয়ে জনপরিসরে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নের একটি হলো ওয়ারেন বাফেট মারা গেলে দাতব্য কাজগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে?

গত জুনে এ ধনকুবের জানান, তিনি মারা গেলে সম্পদ একটি দাতব্য সংস্থায় দান করা হতে পারে, যা তার তিন সন্তান হাওয়ার্ড বাফেট, সুসান বাফেট ও পিটার বাফেট পরিচালনা করেন। এসব কাজে তারা সময় পাবেন ১০ বছর। অবশ্য ১৮ বছর আগে নিজের সম্পদ গেটস ফাউন্ডেশনে দান করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ারেন বাফেট।

গেটস ফাউন্ডেশন ও চারটি পারিবারিক ফাউন্ডেশনে বড় অংকের বার্ষিক অনুদান দিয়ে চলেছেন এ ধনকুবের, যা তার জীবদ্দশায় অব্যাহত থাকবে। গত নভেম্বরে নতুন একটি দাতব্য সংস্থার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন ওয়ারেন বাফেট।

বার্তা সংস্থা এপিকে হাওয়ার্ড বাফেট বলেন, ‘দাতব্য কাজ সম্পর্কে বাবা আমাকে ও আমার ভাইবোনকে যা বলেছেন তা শিখেছি এবং তা সত্য। তিনি আমাদের বলেন, ‘স্মার্ট ও বিবেচক উপায়ে অর্থ দান করা যতটা সহজ বলে মনে হয় ততটা নয়।’

হাওয়ার্ড আরো বলেন, ‘আমার বাবা আগের মতোই তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী। আশা করি, তিনি আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।’

ওয়ারেন বাফেট ২০০৬ সাল থেকে বিল গেটস ও মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের ফাউন্ডেশনকে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের অনুদান দিয়েছেন।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার দ্য সেন্টার অন ফিলানথ্রোপি অ্যান্ড পাবলিক পলিসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জেমস ফেরিস বলেন, ‘ধনী ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যকে তাদের অর্থ কোথায় যাবে তা সিদ্ধান্ত নিতে দেয়ার পরিবর্তে নিজেই পরিচালনা করতে পছন্দ করেন। আবার অনেক ধনী ব্যক্তি রয়েছেন যারা নিজের সম্পদ সন্তানদের কাছে তুলে দিতে সংশয় প্রকাশ করেন। কারণ তারা সন্তানদের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন।’

এক্ষেত্রে ওয়ারেন বাফেটের চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন জেমস ফেরিস। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সম্পদ কীভাবে দান করা হবে দাতা তা নির্ধারণ করছেন। অনেক বছর ধরে গেটস ফাউন্ডেশনকে বড় অংকের বার্ষিক অনুদান দিয়ে আসছেন ওয়ারেন বাফেট। তবে সন্তানদের পরিচালিত তিনটি এবং পারিবারিক একটি ফাউন্ডেশনে কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে আসছেন। এর মধ্য দিয়ে বাফেটের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের অগ্রাধিকার সম্পর্কে ধারণা পাবেন।’

অনুদানের দিক থেকে সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশন বৃহত্তম, যা বিশ্বজুড়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভনিরোধক ও গর্ভপাত সম্পর্কিত বিষয়ে কাজ করে। ফাউন্ডেশনটির বোর্ড চেয়ারম্যান ৭১ বছরের সুসান বাফেট ও বোর্ড সদস্য ৬৬ বছরের পিটার বাফেট।

শেরউড ফাউন্ডেশনও পরিচালনার দায়িত্বে আছেন সুসান বাফেট, যা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিশুদের মানসিক বিকাশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। পিটার বাফেটের নভো ফাউন্ডেশন মেয়ে ও নারীদের স্বনির্ভরশীলতার পক্ষে এবং লৈঙ্গিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করা সংগঠনগুলোকে অনুদান দিয়ে থাকে। হাওয়ার্ড জি বাফেট ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে সংঘাত প্রশমন ও কৃষিতে মনোনিবেশ করেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫